ঢাকা ০৪:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কয়েন অচলের গুজব

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ২৯০ বার

যশোরে কয়েন অচলের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এক ও দুই টাকার ধাতব কয়েন নিচ্ছেন না দোকানিরা। ব্যাংকের স্থানীয় শাখাগুলোতেও কয়েন গ্রহণে অনিহা দেখা গেছে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পয়সা জমিয়ে রাখা শিশুরাও।

সম্প্রতি কয়েক নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা জারি হওয়ার পরও স্থানীয় ব্যাংকগুলো কয়েন গ্রহণ করছে না। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ শুধু কয়েনগুলো বিতরণ করার; নেয়া বা না নেয়ার নির্দেশনা তারা পাননি। পাশাপাশি ব্যাংকের ভল্টে কয়েন রাখার ব্যবস্থা না থাকার অজুহাতও তুলেছেন কেউ কেউ।

সম্প্রতি শার্শা উপজেলার পল্লীর বাজারগুলোর দোকানিরা এক টাকা ও দুই টাকার কয়েন নিচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ, কোনো ব্যাংক কিংবা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা কয়েন নিচ্ছেন না। এতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে কয়েন দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকায় তাদের মূলধনেও টান পড়ছে। পড়ে থাকা কয়েনের কারণে ব্যবসার সুফল পাচ্ছেন না তারা।

খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে মালামাল বিক্রি করতে কয়েন নিতে হয়। কিন্তু সেগুলো ব্যাংক বা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা না নেয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। মুদি ও চায়ের দোকানিরা ২০০ থেকে ৩০০ টাকার সমপরিমাণ কয়েন দিলে মুখ বুজে না করে।

এদিকে কয়েন চলছে না গুজবে কয়েন জমানো ‘মাটির ঘট’ বা মাটির ব্যাংক ভেঙে বিপাকে পড়েছেন ছাত্রছাত্রী, শিশু ও গৃহবধূরা। অনেকে টিফিনের টাকা থেকে জমানো কয়েন রেখে হতাশায় ভুগছেন।

শার্শার এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, কয়েন নেয়ার নির্দেশনা তারা পাননি।
তবে সরকারি কোনো ঘোষণা ছাড়া সরকার প্রবর্তিত টাকা বা মুদ্রা অচল ঘোষণা করা বা গুজব ছড়ানো কিংবা লেনদেনে বাধা সৃষ্টি করা বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

কয়েন অচলের গুজব

আপডেট টাইম : ১০:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যশোরে কয়েন অচলের গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এক ও দুই টাকার ধাতব কয়েন নিচ্ছেন না দোকানিরা। ব্যাংকের স্থানীয় শাখাগুলোতেও কয়েন গ্রহণে অনিহা দেখা গেছে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পয়সা জমিয়ে রাখা শিশুরাও।

সম্প্রতি কয়েক নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা জারি হওয়ার পরও স্থানীয় ব্যাংকগুলো কয়েন গ্রহণ করছে না। কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ শুধু কয়েনগুলো বিতরণ করার; নেয়া বা না নেয়ার নির্দেশনা তারা পাননি। পাশাপাশি ব্যাংকের ভল্টে কয়েন রাখার ব্যবস্থা না থাকার অজুহাতও তুলেছেন কেউ কেউ।

সম্প্রতি শার্শা উপজেলার পল্লীর বাজারগুলোর দোকানিরা এক টাকা ও দুই টাকার কয়েন নিচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ, কোনো ব্যাংক কিংবা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা কয়েন নিচ্ছেন না। এতে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছে কয়েন দীর্ঘ সময় ধরে পড়ে থাকায় তাদের মূলধনেও টান পড়ছে। পড়ে থাকা কয়েনের কারণে ব্যবসার সুফল পাচ্ছেন না তারা।

খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে মালামাল বিক্রি করতে কয়েন নিতে হয়। কিন্তু সেগুলো ব্যাংক বা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিরা না নেয়ায় বিপাকে পড়েছেন তারা। মুদি ও চায়ের দোকানিরা ২০০ থেকে ৩০০ টাকার সমপরিমাণ কয়েন দিলে মুখ বুজে না করে।

এদিকে কয়েন চলছে না গুজবে কয়েন জমানো ‘মাটির ঘট’ বা মাটির ব্যাংক ভেঙে বিপাকে পড়েছেন ছাত্রছাত্রী, শিশু ও গৃহবধূরা। অনেকে টিফিনের টাকা থেকে জমানো কয়েন রেখে হতাশায় ভুগছেন।

শার্শার এক ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, কয়েন নেয়ার নির্দেশনা তারা পাননি।
তবে সরকারি কোনো ঘোষণা ছাড়া সরকার প্রবর্তিত টাকা বা মুদ্রা অচল ঘোষণা করা বা গুজব ছড়ানো কিংবা লেনদেনে বাধা সৃষ্টি করা বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।