দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে একদিনেই আনা হয়েছে ১ হাজার ৮১৮ মেট্রিকটন আলু। বাজারে সরবরাহ বাড়াতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ আলু আমদানি করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৩০-৩৫ ট্রাক আলু আমদানি হলেও বৃহস্পতিবার একদিনেই ৭১ ট্রাকে এক হাজার ৮১৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে।
এদিকে আমদানি বাড়ায় হিলির বাজারে কেজিতে দুই থেকে তিনি টাকা দাম কমেছে। তবে ঢাকার বাজারে এখনো আলুর দাম কমেনি। ঢাকায় মানভেদে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। হিলি বন্দর সূত্র জানায়, আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আলু আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। বন্দর দিয়ে ডায়মন্ড ও কাটিনাল আলু আমদানি হচ্ছে। হিলি বন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারকরা ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ আলু আমদানি করছে। যাতে দেশে আলুর দাম কমছে।
শুক্রবার বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে তাই বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হয়েছে। আলু আমদানি বাড়লে দাম আরও কমবে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, হিমাগার ফটকে আলুর দাম বাড়ছে, যার প্রভাব পড়েছে ভোক্তা পর্যায়ে। তবে হিমাগার মালিক ও পাইকারি আলু ব্যবসায়ীরা বলেন, কৃষকের ঘরের আলু প্রায় শেষ। হিমাগারেও মজুত শেষ পর্যায়ে। তাছাড়া মৌসুমে বেশি লাভের আশায় কৃষকরা তাড়াতাড়ি আলু তুলে ফেলেছেন। এজন্য কিছুটা কম হয়েছে ফলন। অন্যদিকে, সাধারণত নভেম্বরে আগাম জাতের আলু বাজারে আসে। এবার অতিবৃষ্টির কারণে কৃষক ঠিক সময়ে বীজ লাগাতে পারেনি। তাছাড়া সরকার থেকে সময়মতো বীজ না পাওয়ায় দুই সপ্তাহ পিছিয়ে গেছে আগাম আলুর আবাদ। এজন্য বাজারে আলুর সরবরাহ কম। ফলে দর বাড়ছে। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, আলুর দর এক মাসে প্রায় ২৩ ও এক বছরে ৪২ শতাংশ বেড়েছে। সংস্থাটির প্রতিবেদন বলছে, গত বছরের এই সময়ে খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম ছিল প্রতি কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের অক্টোবরে প্রতি কেজি আলুর দাম ৭৫ টাকা ছাড়িয়েছিল।