ঢাকা ১১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিলের বিরল পরিযায়ী হাঁস ছিল ‘মেটে রাজহাঁস’

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:০৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ ২০১৮
  • ৬০৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাঁসেদের ভিড়ে সে একাই ছিল। তাকে ঠিক নিঃসঙ্গ বলা যাবে না। তবে তার প্রজাতির আর সঙ্গী কেউ ছিল না। অন্যদের সঙ্গে সেও বেশ মানিয়ে নিয়েছিল। বিলের পানিতে একত্রে হাঁটাহাটি, একত্রে ডানা মেলা। কিংবা একত্রে ভয়ে আঁতকে ওঠা! আরো দু-তিন প্রজাতির হাঁস ছিল ওই হাঁসেদের ভিড়ে। কিন্তু চোখ সহজে গিয়ে পড়ে যায় সবচেয়ে বড় হাঁসটির দিকে। অপেক্ষাকৃত বড় এ হাঁসটির নাম ‘মেটে রাজহাঁস’।

পাখি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে দূরবীক্ষণযন্ত্রে চোখ রাখতেই এই বড় আকৃতির হাঁসটি দৃষ্টিসীমায় প্রবেশ করে। নিমিষেই জন্ম দেয় দারুণ এক ভালোলাগার। ‘চুক-চুক, চুক-চুক’ করে কাদায় মুখ গুঁজে খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছিল সে।

পাখি পর্যবেক্ষক সাঈদ বিন জামাল হাওর বার্তাকে বলেন, হাঁসটি আকারে গৃহপালিত রাজহাঁসের মতো। একে ‘ধূসর রাজহাঁস’ও বলা হয়। এর ইংরেজি নাম Greylag Goose এবং বৈজ্ঞানিক নাম Anser anser। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত।

এর আকৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেটে রাজহাঁসের আকৃতি সাধারণত ৭৫ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার হয়। মাথা ও গলা হালকা ছাই রঙের। দেহতল ধূসর এবং তলপেট সাদা। ধূসর বর্ণের পেটের মধ্যে কালো কালো দাগ রয়েছে। উড়ে যাওয়ার সময় তাদের সামনের দিকে ফ্যাকাসে দেখা যায়।

Image result for মেটে রাজহাঁসের ছবিখাদ্য ও প্রাপ্তিস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাওর-বিল ও উপকূলীয় ঘাস, জলজ আগাছা, ভাসমান উদ্ভিদ, শামুক প্রভৃতি এদের খাদ্য। শীতে সিলেট ও ঢাকা বিভাগের বড় বিল, জলাশয় এবং চট্টগ্রাম ও বরিশালের উপকূলীয় অঞ্চলে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ বিরল। যদিও এখনো বিপন্নতার তালিকায় আসেনি।

জীববৈচিত্র্য গবেষণা ও সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘আইইউসিএন’ এর তালিকায় এ প্রজাতিগুলোকে বাংলাদেশে ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান সাঈদ বিন জামাল।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

বিলের বিরল পরিযায়ী হাঁস ছিল ‘মেটে রাজহাঁস’

আপডেট টাইম : ০৩:০৪:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ হাঁসেদের ভিড়ে সে একাই ছিল। তাকে ঠিক নিঃসঙ্গ বলা যাবে না। তবে তার প্রজাতির আর সঙ্গী কেউ ছিল না। অন্যদের সঙ্গে সেও বেশ মানিয়ে নিয়েছিল। বিলের পানিতে একত্রে হাঁটাহাটি, একত্রে ডানা মেলা। কিংবা একত্রে ভয়ে আঁতকে ওঠা! আরো দু-তিন প্রজাতির হাঁস ছিল ওই হাঁসেদের ভিড়ে। কিন্তু চোখ সহজে গিয়ে পড়ে যায় সবচেয়ে বড় হাঁসটির দিকে। অপেক্ষাকৃত বড় এ হাঁসটির নাম ‘মেটে রাজহাঁস’।

পাখি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে দূরবীক্ষণযন্ত্রে চোখ রাখতেই এই বড় আকৃতির হাঁসটি দৃষ্টিসীমায় প্রবেশ করে। নিমিষেই জন্ম দেয় দারুণ এক ভালোলাগার। ‘চুক-চুক, চুক-চুক’ করে কাদায় মুখ গুঁজে খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছিল সে।

পাখি পর্যবেক্ষক সাঈদ বিন জামাল হাওর বার্তাকে বলেন, হাঁসটি আকারে গৃহপালিত রাজহাঁসের মতো। একে ‘ধূসর রাজহাঁস’ও বলা হয়। এর ইংরেজি নাম Greylag Goose এবং বৈজ্ঞানিক নাম Anser anser। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতি সংরক্ষিত।

এর আকৃতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেটে রাজহাঁসের আকৃতি সাধারণত ৭৫ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার হয়। মাথা ও গলা হালকা ছাই রঙের। দেহতল ধূসর এবং তলপেট সাদা। ধূসর বর্ণের পেটের মধ্যে কালো কালো দাগ রয়েছে। উড়ে যাওয়ার সময় তাদের সামনের দিকে ফ্যাকাসে দেখা যায়।

Image result for মেটে রাজহাঁসের ছবিখাদ্য ও প্রাপ্তিস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাওর-বিল ও উপকূলীয় ঘাস, জলজ আগাছা, ভাসমান উদ্ভিদ, শামুক প্রভৃতি এদের খাদ্য। শীতে সিলেট ও ঢাকা বিভাগের বড় বিল, জলাশয় এবং চট্টগ্রাম ও বরিশালের উপকূলীয় অঞ্চলে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশ বিরল। যদিও এখনো বিপন্নতার তালিকায় আসেনি।

জীববৈচিত্র্য গবেষণা ও সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘আইইউসিএন’ এর তালিকায় এ প্রজাতিগুলোকে বাংলাদেশে ‘ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত’ বলে ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান সাঈদ বিন জামাল।