ঢাকা ০৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অং সান সু চি পদত্যাগ করছেন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:২২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মার্চ ২০১৮
  • ২৯১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি যেকোনো মুহূর্তে অবসরে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। দলটির কার্য নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে সু চি সম্ভব হলে নিজেকে সরিয়ে নিতে চান বলে জানানোর পর এ গুঞ্জন আরো জোরালো হয়েছে।

তবে রোববার এনএলডি’র এক মুখপাত্র সু চির পদত্যাগের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। মুখপাত্র ইউ মিও নিউন্ত বলেছেন, ‘খবর বেরিয়েছে যে অং সান সু চি অবসরে যাবেন। আমি বললাম, না। তবে দলের কর্মীরা যদি কঠোর পরিশ্রম করেন, তবেই তিনি অবসরে যাবেন। এটা তিনি (সু চি) সব সময়ই বলেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি শিগগিরই অবসরে যাবেন।’

 শনিবার এনএলডি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সু চি বলেন, সম্ভব হলে তিনি পদত্যাগ করতে চান। 

এর আগে শনিবার দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এনএলডি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (সিইসি) সদস্যদের এক বৈঠকে সু চি বলেন, সম্ভব হলে তিনি পদত্যাগ করতে চান। এনএলডি প্রধান সু চির এ মন্তব্যের পর দেশটির গণমাধ্যমে তার পদত্যাগের ব্যাপারে খবর প্রকাশিত হয়।

aung-san-suu-kyi

এনএলডি’র মুখপাত্র ইউ মিও নিউন্ত শনিবারের ওই বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, ‘নেইপিদোতে যে বৈঠক হয়েছে সেটি ছিল শুধুমাত্র সামাজিক সমাবেশ। বৈঠকে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এটি ছিল অনিয়মিত একটি আলোচনা। সিইসির সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে এ বৈঠক হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করায় ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ত দেশের শীর্ষ এ পদের দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা কার্যনির্বাহী কমিটির পুরনো এবং নতুন সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক আড্ডা দিয়েছি। এনএলডির এই মুখপাত্র বলেন, ২০০৮ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির সংবিধানে সংশোধনী আনে। এতে সরকারি কর্মকর্তারা দলীয় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না বলে বিধান করা হয়। যে কারণে সামাজিক সমাবেশ অবৈধ নয়।

এনএলডির সংসদ সদস্য ইউ ন্যা মিও তুন বলেন, ‘ধৈর্য এবং প্রভাব বিবেচনায় অবশ্যই তিনি (সু চি) দেশের প্রধান থাকবেন। তার (বয়স এবং কাজের চাপ বিবেচনায়) প্রতি আমাদের সহানুভূতি নেই; বিষয়টি তেমন নয়। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আমি বিশ্বাস করি, তিনি এতে দ্বিমত করবেন না।’

aung-san-suu-kyi

দলটির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তিনি বলেছেন তার বয়স বেড়েছে। কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহ দিতেই তিনি অবসরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন।’

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন মিয়ানমারের এ নেত্রী। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় পরিশ্রান্ত-ক্লান্ত দেখা যায় ৭৩ বছর বয়সী সু চিকে। এনএলডির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইউ উইন হতেইন সু চির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফর করেছেন। ইউ উইন হতেইন বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় অধিকাংশ সময়ই বিছানায় কাটিয়েছেন সু চি।

এনএলডির কার্যনির্বাহী কমিটির এ সদস্য বলেন, দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন সু চি। এসময় তার সঙ্গে কথা বলা থেকেও বিরত থাকা হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও একটি বৈঠকে বক্তৃতা দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হয়।

সূত্র : দ্য ইরাবতি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

অং সান সু চি পদত্যাগ করছেন

আপডেট টাইম : ০৪:২২:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি যেকোনো মুহূর্তে অবসরে যেতে পারেন বলে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। দলটির কার্য নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে সু চি সম্ভব হলে নিজেকে সরিয়ে নিতে চান বলে জানানোর পর এ গুঞ্জন আরো জোরালো হয়েছে।

তবে রোববার এনএলডি’র এক মুখপাত্র সু চির পদত্যাগের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। মুখপাত্র ইউ মিও নিউন্ত বলেছেন, ‘খবর বেরিয়েছে যে অং সান সু চি অবসরে যাবেন। আমি বললাম, না। তবে দলের কর্মীরা যদি কঠোর পরিশ্রম করেন, তবেই তিনি অবসরে যাবেন। এটা তিনি (সু চি) সব সময়ই বলেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি শিগগিরই অবসরে যাবেন।’

 শনিবার এনএলডি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সু চি বলেন, সম্ভব হলে তিনি পদত্যাগ করতে চান। 

এর আগে শনিবার দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এনএলডি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (সিইসি) সদস্যদের এক বৈঠকে সু চি বলেন, সম্ভব হলে তিনি পদত্যাগ করতে চান। এনএলডি প্রধান সু চির এ মন্তব্যের পর দেশটির গণমাধ্যমে তার পদত্যাগের ব্যাপারে খবর প্রকাশিত হয়।

aung-san-suu-kyi

এনএলডি’র মুখপাত্র ইউ মিও নিউন্ত শনিবারের ওই বৈঠকের ব্যাপারে বলেন, ‘নেইপিদোতে যে বৈঠক হয়েছে সেটি ছিল শুধুমাত্র সামাজিক সমাবেশ। বৈঠকে রাজনৈতিক কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এটি ছিল অনিয়মিত একটি আলোচনা। সিইসির সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘসময় ধরে এ বৈঠক হয়েছে। প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করায় ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ত দেশের শীর্ষ এ পদের দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা কার্যনির্বাহী কমিটির পুরনো এবং নতুন সদস্যদের সঙ্গে সামাজিক আড্ডা দিয়েছি। এনএলডির এই মুখপাত্র বলেন, ২০০৮ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির সংবিধানে সংশোধনী আনে। এতে সরকারি কর্মকর্তারা দলীয় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না বলে বিধান করা হয়। যে কারণে সামাজিক সমাবেশ অবৈধ নয়।

এনএলডির সংসদ সদস্য ইউ ন্যা মিও তুন বলেন, ‘ধৈর্য এবং প্রভাব বিবেচনায় অবশ্যই তিনি (সু চি) দেশের প্রধান থাকবেন। তার (বয়স এবং কাজের চাপ বিবেচনায়) প্রতি আমাদের সহানুভূতি নেই; বিষয়টি তেমন নয়। তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। আমি বিশ্বাস করি, তিনি এতে দ্বিমত করবেন না।’

aung-san-suu-kyi

দলটির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তিনি বলেছেন তার বয়স বেড়েছে। কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমে উৎসাহ দিতেই তিনি অবসরে যেতে চান বলে জানিয়েছেন।’

গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়া সফর করেন মিয়ানমারের এ নেত্রী। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় পরিশ্রান্ত-ক্লান্ত দেখা যায় ৭৩ বছর বয়সী সু চিকে। এনএলডির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ইউ উইন হতেইন সু চির সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফর করেছেন। ইউ উইন হতেইন বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় অধিকাংশ সময়ই বিছানায় কাটিয়েছেন সু চি।

এনএলডির কার্যনির্বাহী কমিটির এ সদস্য বলেন, দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েন সু চি। এসময় তার সঙ্গে কথা বলা থেকেও বিরত থাকা হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সাক্ষাৎ ও একটি বৈঠকে বক্তৃতা দেয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা বাতিল করা হয়।

সূত্র : দ্য ইরাবতি।