হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভৌগোলিক কারণে প্রলম্বিত শীত ঋতু এবং সূর্যালোক কম পাওয়ার অতৃপ্তি থাকলেও যাপিত জীবন নিয়ে বিশ্বে এখন সবচেয়ে সুখী ফিনল্যান্ডের মানুষ।
জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের (এসডিএসএন) বার্ষিক প্রতিবেদনে স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশটির সুখের চিত্র ফুটে ওঠে।
আজ (১৫মার্চ) প্রকাশিত এই তালিকায় ফিনল্যান্ডের শীর্ষে থাকার বিপরীতে সবচেয়ে অসুখী দেশ হিসেবে সবার শেষে স্থান পেয়েছে আফ্রিকার দেশ বুরুন্দি।
১৫৬টি দেশের এই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ১১৫তম স্থানে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অর্থ-বিত্তে বাড়লেও যুক্তরাষ্ট্রের অবনমন।
মাথাপিছু আয়, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও গড় আয়ু, সামাজিক স্বাধীনতা এবং দুর্নীতির মাত্রা মতো কয়েকটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে প্রতি বছর এই তালিকা করছে এসডিএসএন।
এবারের তালিকায় শীর্ষে থাকা ফিনল্যান্ড পয়েন্ট কুড়িয়েছে ৭ দশমিক ৬৩। সামাজিক নিরাপত্তা, শিশুদের প্রতি যত্ন, মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিনা খরচে চিকিৎসার মতো বিষয়গুলো তাদের পয়েন্ট বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিনল্যান্ডে পাড়ি জমানো ব্রায়ানা ওয়েনস রয়টার্সকে বলেন, “আমি তো অন্য আমেরিকানদের মজা করে বলি, আমরা যে আমেরিকার স্বপ্ন দেখি, তা আছে এই ফিনল্যান্ডে।”
গত বছরের তালিকায় ফিনল্যান্ড ছিল পাঁচ নম্বরে; সেখান থেকে উঠে এসে পাশের দেশ নরওয়েকে (৭ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট) দ্বিতীয় স্থানে নামিয়ে দিয়েছে তারা।
এবারের তালিকায় তাদের পরের স্থানগুলোতে রয়েছে ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন, ও অস্ট্রেলিয়া।
বাংলাদেশের পয়েন্ট ৪ দশমিক ৫০। তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তান রয়েছে ৭৫তম স্থানে (পয়েন্ট ৫ দশমিক ৪৭), ভুটান ৯৭তম স্থানে (৫ দশমিক ০৮), নেপাল ১০৮তম স্থানে (৪ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট), শ্রীলঙ্কা ১১৬তম স্থানে (৪ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট), ভারত ১৩৩তম স্থানে (৪ দশমিক ১৯ পয়েন্ট), মিয়ানমার ১৩০তম স্থানে (৪ দশমিক ৩০ পয়েন্ট)।
যুক্তরাষ্ট্র গতবার ছিল চতুর্দশ স্থানে, এবার নেমে গেছে অষ্টাদশ স্থানে, যুক্তরাজ্য রয়েছে ১৯তম স্থানে। চীন রয়েছে ৮৬তম স্থানে।
নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জেফরি সাচ রয়টার্সকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে আমরা আসলেই একটি সামাজিক সমস্যায় রয়েছি, এখানে বৈষম্য বাড়ছে, বিশ্বাস কমছে। সরকারের উপর নাগরিকদের আস্থা এখন সবচেয়ে কম।”
“এটা (তালিকা) দেখিয়ে দিল, আমরা সম্পদশালী হচ্ছি, কিন্তু সুখী হচ্ছি না। এটা বেশ খারাপ ইঙ্গিত,” বলেন এই অধ্যপক।