হাওর বার্তা ডেস্কঃ স্বল্প সময় ও অল্প খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে গম চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা। জেলায় এবার গমের বাম্পার ফলনও সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গম পরিচর্যায় কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। গমের চাহিদা বাড়ায় এবং দাম বেশি পাওয়াতে দিন দিন এ জেলাতে গমের আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরা জেলাতে গমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন। সদরে আবাদ হয়েছে ৫৪৫ হেক্টর জমিতে যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮২৬ মেট্রিক টন।
কলারোয়ায় আবাদ হয়েছে ২০৫ হেক্টর জমিতে যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৮৭ মেট্রিক টন। তালায় আবাদ হয়েছে ৬১০ হেক্টর জমিতে যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০৪৪ মেট্রিক টন। দেবহাটায় আবাদ হয়েছে ১৫ হেক্টর জমিতে যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫০ মেট্রিক টন। কালিগঞ্জে আবাদ হয়েছে ১০৯ হেক্টর জমিতে যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬৫ মেট্রিক টন। আশাশুনিতে আবাদ হয়েছে ৪৭ হেক্টর জমিতে যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৫৭ মেট্রিক টন। শ্যামনগরে আবাদ হয়েছে ১৯ হেক্টর জমিতে যা থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬৪ মেট্রিক টন।
জেলার তালা উপজেলার খলিষখালীর হাজরা পাড়ার গম চাষী আব্দুল কাদের জানান, গম চাষাবাদ খুব সহজ এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল।
তিনি এ বছর দুই বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন। সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কৃষক আরশাদ আলী বলেন, গম চাষাবাদে খরচ এবং রোগ বালাই খুব কম হয়। এ বছর আমি এক বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি, ফলন ভাল হয়েছে। গম চাষে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা দিনদিন আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তিনি ভাল দাম পাওয়ার আশা করছেন।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, জেলায় কৃষকরা এবার ‘বারী-গম’ এর চাষ করেছেন। এ বিষয়ে আমরা কৃষকদের গম চাষে উদ্বুদ্ধ করতে নানা মুখি পদক্ষেপ নিয়েছি। গমে রোগ বালাই কম। চাষীরা যাতে গম চাষে আগ্রহী হয় সে বিষয়ে কৃষি কর্মকর্তারা চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।