ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

আলু বাম্পার ফলন হলেও দাম না থাকায় নিয়ে বিপাকে কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মার্চ ২০১৮
  • ৩৭৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রংপুরে চলতি বছর আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম না থাকায় আলু নিয়ে বিপাকে কৃষকেরা। ক্ষেতে ঘামঝরা পরিশ্রম করলেও ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তাই আলুর দাম বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য সরকারে সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র মতে, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রংপুর জেলায় ৫১ হাজার ২৭৫ হেক্টর, লালমনিরহাটে পাঁচ হাজার ৩৮৫ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ছয় হাজার ২৩১ হেক্টর, নীলফামারীতে ২২ হাজার ২৭০ হেক্টর ও গাইবান্ধায় সাত হাজার ৫৮৭ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি।

রংপুর মহানগরীর তামপাটসহ পার্শ্ববর্তী পারুল, পায়রাবন্দ, কল্যাণী, মাহিগঞ্জ, সাতমাথা, সারাই, পীরগাছা, দেউতি, মাছহাড়ি, মীরবাগ, সাতদরগা, ইটাকুমারি এলাকার মানুষ সাধারণত রবি শস্যের উপর নির্ভরশীল। তাই গত বছরের চেয়ে এ বছরেও ব্যাপক হারে আলুর চাষ করেছেন তারা।

রংপুর মহানগরীর উত্তম হাজিরহাট, তপোধন, কেরানীহাট, শ্যামপুর, পালিচড়া, তামপাট দুলাল মুন্সিরপাড়া, বকচি, মীরগঞ্জ, কাইদাহারা, রঘু, দেউতি, নব্দীগঞ্জ, পায়রাবন্দসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর কোনো জমি পতিত নেই। বিস্তৃীর্ণ জমিতে কৃষকরা আলুর ফসল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আলুর ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিলেও দাম না থাকায় চিন্তিত তারা।

রংপুরের দেউতি পারুল নদীরপাড়ের কৃষক ফুল মিয়া ও শাহ আলম বলেন, ‘এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে সঠিক দাম না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। যদি দাম না বাড়ে তাহলে মাঠে মারা যাবো। অনেক লোকসান হবে। কারণ ধার-দেনা করে আলু চাষ করেছি।’

সাতমাথা বালাটারি এলাকার কৃষক আফজাল পাটোয়ারি জানান, অনেক কৃষকই অন্যের জমি লিজ নিয়ে আলু আবাদ করেছে। যদি আলুর দাম না বাড়ে তাহলে শতাধিক কৃষকের কপালে দুঃখ আছে।

অন্যদিকে একই এলাকার কৃষক ইসরাফিল মিয়া বলেন, ‘আমাদের একমাত্র ভরসা সরকার। যদি সরকার যেভাবে কৃষকের ধানের দাম বাড়িয়েছে, সেভাবে যদি সরকার আলুর দাম বাড়াতো তাহলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে না।’

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আলম বলেন, চলতি রংপুর জেলাসহ রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ৯২ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর কৃষকরা উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল আলুর বীজ এস্টোরিজ, কার্টিনাল, বগুরিয়া, স্টিক, ক্যারেজ বেশি পরিমাণে আবাদ করেছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জানালেন ড. তোফায়েল দলীয় প্রতীকে আর হবে না স্থানীয় সরকার নির্বাচন

আলু বাম্পার ফলন হলেও দাম না থাকায় নিয়ে বিপাকে কৃষকরা

আপডেট টাইম : ১২:২৮:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রংপুরে চলতি বছর আলুর বাম্পার ফলন হলেও দাম না থাকায় আলু নিয়ে বিপাকে কৃষকেরা। ক্ষেতে ঘামঝরা পরিশ্রম করলেও ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। তাই আলুর দাম বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য সরকারে সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র মতে, চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রংপুর জেলায় ৫১ হাজার ২৭৫ হেক্টর, লালমনিরহাটে পাঁচ হাজার ৩৮৫ হেক্টর, কুড়িগ্রামে ছয় হাজার ২৩১ হেক্টর, নীলফামারীতে ২২ হাজার ২৭০ হেক্টর ও গাইবান্ধায় সাত হাজার ৫৮৭ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি।

রংপুর মহানগরীর তামপাটসহ পার্শ্ববর্তী পারুল, পায়রাবন্দ, কল্যাণী, মাহিগঞ্জ, সাতমাথা, সারাই, পীরগাছা, দেউতি, মাছহাড়ি, মীরবাগ, সাতদরগা, ইটাকুমারি এলাকার মানুষ সাধারণত রবি শস্যের উপর নির্ভরশীল। তাই গত বছরের চেয়ে এ বছরেও ব্যাপক হারে আলুর চাষ করেছেন তারা।

রংপুর মহানগরীর উত্তম হাজিরহাট, তপোধন, কেরানীহাট, শ্যামপুর, পালিচড়া, তামপাট দুলাল মুন্সিরপাড়া, বকচি, মীরগঞ্জ, কাইদাহারা, রঘু, দেউতি, নব্দীগঞ্জ, পায়রাবন্দসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর কোনো জমি পতিত নেই। বিস্তৃীর্ণ জমিতে কৃষকরা আলুর ফসল তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় আলুর ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা দিলেও দাম না থাকায় চিন্তিত তারা।

রংপুরের দেউতি পারুল নদীরপাড়ের কৃষক ফুল মিয়া ও শাহ আলম বলেন, ‘এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে সঠিক দাম না থাকায় দুশ্চিন্তায় আছি। যদি দাম না বাড়ে তাহলে মাঠে মারা যাবো। অনেক লোকসান হবে। কারণ ধার-দেনা করে আলু চাষ করেছি।’

সাতমাথা বালাটারি এলাকার কৃষক আফজাল পাটোয়ারি জানান, অনেক কৃষকই অন্যের জমি লিজ নিয়ে আলু আবাদ করেছে। যদি আলুর দাম না বাড়ে তাহলে শতাধিক কৃষকের কপালে দুঃখ আছে।

অন্যদিকে একই এলাকার কৃষক ইসরাফিল মিয়া বলেন, ‘আমাদের একমাত্র ভরসা সরকার। যদি সরকার যেভাবে কৃষকের ধানের দাম বাড়িয়েছে, সেভাবে যদি সরকার আলুর দাম বাড়াতো তাহলে আমাদের লোকসান গুনতে হবে না।’

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আলম বলেন, চলতি রংপুর জেলাসহ রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলায় ৯২ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি। এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর কৃষকরা উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল আলুর বীজ এস্টোরিজ, কার্টিনাল, বগুরিয়া, স্টিক, ক্যারেজ বেশি পরিমাণে আবাদ করেছেন।