ঢাকা ০৫:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:০০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ ২০১৮
  • ১০২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের একান্ত প্রচেষ্টা ও কৃষকদের আগ্রহের কারনেই এই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন ও আশানুরূপ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৩৪৬ হেক্টর তার মধ্যে ২৮ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ২ হাজার ৭৫৯ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। ১৬ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বোরো আবাদের উত্তম সময়। উন্নত মানের ভালো বীজ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে ফলন বেশি উৎপাদন হয়। বোরো আবাদ লাভজনক হওয়ায় এ চাষে কৃষকদের আগ্রহ প্রতিবছরই বাড়ছে।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার চাষিরা হাইব্রিড ব্রিধান-২৮, ২৯, ৪৭, ৫৫, ৫৮, তেজ, ময়না, টিয়া, এসিআই, হীরা, বিআর, ব্রি ধান, হীরা-২ সহ বেশ কয়েকটি জাতের ধান চাষ করেছে। তবে অধিকাংশ চাষিই হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ বেশি করেছে।

মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টির কারনে বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হলেও প্রাকৃতিক সে বৈরি আবহাওয়া বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারন আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে উন্নত বীজ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

জেলা বোরো চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেচের ব্যবস্থা, কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ ও ধানের ভালো দাম থাকায় তারা এ ফসলের আবাদ করেছে। বর্তমানে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কাঙ্খিত ফলন ঘরে তুলতে পারবেন।

এছাড়াও উন্নত বীজ, আধুনিক প্রযুক্তি, সেচ, সুষম সার ও সঠিক বয়সের চারা আবাদে ব্যবহার করছে তারা। তবে লগো পদ্ধতি জেলায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারন এ পদ্ধতি ব্যবহারে ফসল নষ্ট ছাড়াই পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ করতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন খাঁন জানান, যেখানে সেচের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানেই আবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। সঠিক পরিচর্যা ও ভালো ফলনের জন্য কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। এছাড়াও বিনামূল্যে বীজ, সার ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদনও ভালো হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জানালেন ড. তোফায়েল দলীয় প্রতীকে আর হবে না স্থানীয় সরকার নির্বাচন

বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে

আপডেট টাইম : ০৪:০০:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে বোরো ধানের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তাদের একান্ত প্রচেষ্টা ও কৃষকদের আগ্রহের কারনেই এই আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদন ও আশানুরূপ হবে বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলার পাঁচটি উপজেলায় চলতি মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৩৪৬ হেক্টর তার মধ্যে ২৮ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ২ হাজার ৭৫৯ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। ১৬ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত বোরো আবাদের উত্তম সময়। উন্নত মানের ভালো বীজ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে ফলন বেশি উৎপাদন হয়। বোরো আবাদ লাভজনক হওয়ায় এ চাষে কৃষকদের আগ্রহ প্রতিবছরই বাড়ছে।

জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার চাষিরা হাইব্রিড ব্রিধান-২৮, ২৯, ৪৭, ৫৫, ৫৮, তেজ, ময়না, টিয়া, এসিআই, হীরা, বিআর, ব্রি ধান, হীরা-২ সহ বেশ কয়েকটি জাতের ধান চাষ করেছে। তবে অধিকাংশ চাষিই হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ বেশি করেছে।

মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টির কারনে বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হলেও প্রাকৃতিক সে বৈরি আবহাওয়া বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারন আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে উন্নত বীজ ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে কৃষকরা। কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশের মাধ্যমে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

জেলা বোরো চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সেচের ব্যবস্থা, কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক পরামর্শ ও ধানের ভালো দাম থাকায় তারা এ ফসলের আবাদ করেছে। বর্তমানে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কাঙ্খিত ফলন ঘরে তুলতে পারবেন।

এছাড়াও উন্নত বীজ, আধুনিক প্রযুক্তি, সেচ, সুষম সার ও সঠিক বয়সের চারা আবাদে ব্যবহার করছে তারা। তবে লগো পদ্ধতি জেলায় বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারন এ পদ্ধতি ব্যবহারে ফসল নষ্ট ছাড়াই পরিচর্যা ও সার প্রয়োগ করতে পারে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন খাঁন জানান, যেখানে সেচের ব্যবস্থা রয়েছে সেখানেই আবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। সঠিক পরিচর্যা ও ভালো ফলনের জন্য কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। এছাড়াও বিনামূল্যে বীজ, সার ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উৎপাদনও ভালো হবে।