হাওর বার্তা ডেস্কঃ অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে স্পানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা ছেড়ে প্যারিসে পাড়ি জমান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। বার্সায় থেকে মেসির ছায়ায় পড়ে থাকবেন না, চমক দেখাবেন,চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতবেন, নিজে বিশ্বসেরা হবেন-সে লক্ষ্যেই ফ্রান্সে আগমন ব্রাজিলের বর্তমান যুগের সেরা তারকা নেইমারের। কিন্তু সেই স্বপ্ন এ মৌসুমে অন্তত পূরণ হচ্ছে না তাঁর। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ইতিমধ্যে বিদায়ের ঘন্টা বেজে গেছে ইনজুরির কারনে নিজেও ছিটকে গেছেন গোটা মেীসুম থেকে।তবে দলবদলের ব্যাপারে নেইমারকে আগেই সতর্ক করেছিলেন তাঁর সাবেক সতীর্থরা।
নেইমারের দলবদল নিয়ে গুজব ওঠার পর থেকে শেষ পর্যন্ত আশায় ছিলেন জেরার্ড পিকে। পিকে চেষ্টা করেছিলেন নেইমারকে ধরে রাখতে, ‘আমরা চেষ্টা করছিলাম যেন নেইমার সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, আমরা এটাও বলেছিলাম যে তুমি কখনো সেখানে সাফল্য পাবে না। ওর কাছে সুযোগ ছিল, হয় বেশি টাকা নয়তো বেশি ট্রফি।’ শুধু পিকে নন, দলের সঙ্গে প্রাক্-মৌসুম খেলতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার সময় মেসি, ইনিয়েস্তা, সুয়ারেজরাও বোঝানোর চেষ্টা করেছেন নেইমারকে। বোর্ডের সদস্যরাও চেষ্টার কমতি রাখেনি।
তবু শেষ মুহূর্তে টাকা কিংবা জাতীয় দলের বন্ধুত্বের কাছে হার মেনেছেন নেইমার। প্যারিসে বন্ধু ম্যাক্সওয়েল, দানি আলভেজকে নিয়ে ব্রাজিলিয়ান বন্ধুদের সঙ্গে থাকতে পারাকেই বেশি ভালো মনে করেছিলেন নেইমার। দ্বিতীয়বার ভাবার সুযোগ দেওয়ার পরও প্যারিসের উদ্দেশেই ব্যাগ গোছান নেইমার। ফলাফল, নেইমারের দল ইতিমধ্য ইউরোপ সেরার দৌড় থেকে ছিটকে গেছে। আর বার্সেলোনা পরের রাউন্ডে যাওয়ার পথে এক পা এগিয়ে আছে। লাভের লাভ নেইমারের কিছুই হলো না। ব্যালন ডি’অর জিততে যে তাকে অন্তত আরও এক মৌসুল অপেক্ষা করতে হবে।
বার্সার বন্ধুদের সতর্কবাণীটাই প্রমাণিত হলো মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই। তখন সে বাধা তাঁর কানে আসেনি, নেইমারের ইচ্ছা তখন দলের প্রাণভোমরা হওয়ার। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে ‘অতি লোভে তাতি নষ্ট’। নেইমার যেন সেই প্রবাদের রূপক মাত্র।