গাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভাঙা টিনের ঘরে চলে পাঠদান

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের পশ্চিম চরলক্ষ্মী গাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভাঙা টিনের ঘরে চলে পাঠদান। কক্ষ সংকটের কারণে কোনোমতে পাঠগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, পশ্চিম চরলক্ষ্মী গাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ২০২ জন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়টি চার কক্ষ-বিশিষ্ট টিনশেডের একটি লাইব্রেরি এবং বাকি তিনটি শ্রেণিকক্ষ থাকায় দুই শিফেট ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান করানো হয়। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। তা ছাড়া বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে রেহাই পায় না টিনশেড কক্ষগুলোতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। লাগাতার বৃষ্টি হলে বিদ্যালয়ের চারপাশ পানিতে তলিয়ে যায়। আবার টিনশেড ঘরটি সামান্য বাতাসে নড়বড় করে।

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী বলে, ‘টিনের ভাঙা রুমে ক্লাস করি, বেঞ্চে বসতে হয় গাদাগাদি করে। বৃষ্টি হলে পানিতে ক্লাস রুমের মেঝে তলিয়ে যায়। বিদ্যালয়সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৪ সালের পহেলা জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে এ বিদ্যালয়টি জাতীয়করণের অন্তর্ভুক্ত হয়। যা ২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারিতে খসড়া গেজেট প্রকাশিত হয়েছে।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইয়্যেদুর রহমান বলেন, ‘তিন বছর অতিবাহিত হলেও শিক্ষকদের বেতন-ভাতা এখনো চালু হয়নি। ফলে বেতন-ভাতা না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে শিক্ষকদের। বিদ্যালয়টিতে অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। কোনো রকম টিনশেডে ক্লাস নিচ্ছি। এলজিইডির লোকজন বিদ্যালয়ের ছবি দিতে বলেছিল, ছবিও দিয়েছি। কিন্তু এখনো কোনো ফল পাইনি। এমনকি এই উপজেলার সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিস্কুট দেওয়া হলেও এই বিদ্যালয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম সগির বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ে টিনশেডে ক্লাস নিতে সমস্যা হওয়ায় একটি ভবন নির্মাণ করা প্রয়োজন। বিদ্যালয়টিতে সরকারি বিস্কুট চালু করা হবে। চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশিত হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বেতন-ভাতা পাবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর