হাওর বার্তা ডেস্কঃ হকি এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্বেরে বাকি আর মাত্র তিন দিন। আগামী ৬ মার্চ দেশ ছাড়ার কথা বাংলাদেশ হকি দলের। চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে ওমানে শুরু হচ্ছে এশিয়ান গেমসের বাছাইপর্ব। দল চূড়ান্ত হয়েছে। ভিসা-টিকিট সবই চূড়ান্ত। তবুও শঙ্কার মধ্যে জিমি-চয়নদের এশিয়ান গেমস যাত্রা।
শুধু সরকারি আদেশের (জিও) অপেক্ষায় হকি ফেডারেশন। আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এখনও জিও পায়নি বাহফে। সেটি হাতে পেলেই রওনা দিতে পারতো মাহবুব হারুনের শিষ্যরা।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকারি আদেশের জন্য খেলোয়াড়ও কর্মকর্তাদের তালিকা এনএসসির মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ফেডারেশন। মন্ত্রণালয়েও চলে গেছে ফাইল। তবে হকি ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, ফাইলটি বর্তমানে কী অবস্থায় আছে মন্ত্রণালয়ের কেউ তা জানাতে পারছেন না।
অথচ তিন দিন পরই ঢাকা ছাড়ার কথা জিমি-চয়নদের, মূল প্রতিযোগিতা শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচও খেলার কথা। কিন্তু এখনও সরকারি আদেশ না পেয়ে হকি কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন।
এ প্রসঙ্গে হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাদেক শুক্রবার এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকারি আদেশের জন্য খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের তালিকা পাঠিয়েছিলাম। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, ফাইলে উপমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন।
এরপর ফাইলটা প্রতিমন্ত্রীর দফতরে যাওয়ার কথা, কিন্তু সেটা নাকি সেখানে যায়নি। এখন ফাইলটা কোথায় আছে কেউ বলতে পারছে না। আজ-কালের মধ্যে সরকারি আদেশ না হলে জাতীয় দলের ওমান সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। এ নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।
অবশ্য, আশার বাণী শোনালেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম, ‘হকি ফেডারেশনের ফাইলটি কোথায় আছে তা অফিসে না গিয়ে বলা যাবে না। তবে সরকারি আদেশ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। শিগগিরই হয়ে যাবে, আর ঠিক সময়েই ওমানে যেতে পারবে হকি দল।
খেলোয়াড়-কোচ-কর্মকর্তাদের কপালে চিন্তার ভাজ সরবে জিও পাওয়ার পরপরই। দ্রুত এর সমাধান করতে উদ্যোগী এনএসসি ও হকি ফেডারেশন।