হাওর বার্তা ডেস্কঃ চলতি বছরের বার্সেলোনার টেক শোতে স্যামসাং বেশ সাড়া ফেলেছে। কারণ এই মেলায়ই টেক জায়ান্ট স্যামসাং গ্যালাক্সি এস ৯ এবং এস ৯ প্লাস প্রকাশ হচ্ছে। ছবি ও তথ্য ফাঁস নিয়ে স্যামসাং এস ৯ ইতিমধ্যেই আলোচনার শীর্ষে উঠে গেছেন। অবশ্য হুয়াওয়ে, এইচটিসি, এলজিসহ অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীরাও তাদের চমক নিয়ে আসছে। অন্য ফোনগুলোতে কোন কোন নতুন ফিচার থাকছে, ফোনের ডিজাইন কেমন, ক্যামেরা, লেন্স, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ফেস রিকগনিশন সহ অন্য আর কি কি চমক থাকছে তা নিয়েও অপেক্ষা রয়েছে। তবে একটু হতাশার ব্যাপার হলো ফোনের ডিজাইনগুলো সব একই রকম বা কাছাকাছি।
গত দুই দশকে অবিশ্বাস্য ডিজাইনের সব ফোন এসেছে বাজারে। ফ্লিপ ফোন, ক্যান্ডি বার ফোন, স্লাইডার, রাউন্ড ফোন, স্কয়ার ফোনসহ নানা আকৃতির সব ফোন। কিন্তু ২০০৭ সালে স্টিভ জবসের আইফোন নিয়ে আসে, যা সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। এরপর আর ডিজাইনে নতুন্তের গতি স্তিমিত হতে হতে এখন স্তব্ধ। স্মার্টফোনের নকশায় এখন নতুনত্বের আর কোনো ক্ষুধা নেই।
অবশ্য এর মধ্যে কেউ কেউ ব্যাতিক্রম। গত এমডব্লিউ শোতে বড় চমক ছিল নোকিয়া ৩৩১০। এই ফিনিশ প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো বাটন ফোনেই স্মার্টফোনের সুবিধা দিয়েছিল। এর আগে লেনোভো ফোল্ডেবল ফোনের ধারণা এনেছিল যা আবার হাতেও পরা যেতো। স্যামসাং এনেছিল রোলআউট ডিসপ্লের প্রটোটাইপ ফোন। এলজির বাঁকানো স্ক্রিনের ফোন এনেছিল। তবে এর কোনোটিই জনপ্রিয় হয়নি।
চলচ্চিত্রের ক্যামেরা নির্মাতা রেড পরের বছরই ‘হাইড্রোজেন’ নামের ফোনের ধারণা এনেছে। এতে থাকবে নতুন ধরনের ‘হ্যালোগ্রাফিক ডিসপ্লে’ এবং এর পিছনে সংযুক্ত রয়েছে বিভিন্ন ক্যামেরা-ভিত্তিক মডিউল। এবং স্যামসাং সম্প্রতি একটি ফ্লিপ ফোন এনেছে। এর স্ক্রিনের ভেতরে এবং বাইরে ফিজিকাল ডায়াল প্যাড থাকছে।
বর্তমানে হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারীরা নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিবৃত্তিক ফোন আনতে তাদের স্বপ্নের বাস্তবায়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ডিজাইনে আরও নতুনত্ব আনার চেষ্ট চলছে। গত বছরগুলোতে যা আনা সম্ভব হয়নি, তারও চেষ্টা চলছে।