হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষকের ফসলি জমিতে বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ ফুলে ভরে গেছে। চারিপাশে হলুদ আর হলুদের সমারহের মাঝে মৌমাছিরা এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে মুহুর্তেই ছুটছে ও আহরণ করছে মধু। কৃষকের বিস্তৃর্ণ মাঠজুড়ে হলুদ সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে গেছে। যার সুগন্ধে প্রাণ জুড়ায় পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের।
ফসলি জমিতে হলুদ ফুলে ছেয়ে যাওয়ায় কৃষকের মুখে ফুটেছে খুশির হাসি। এমন চিত্র এখন ধানের দেশ হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা দিনাজপুরের ফসলি জমিতে অবস্থিত সরিষা ক্ষেতে। গত মৌসুমে সরিষা চাষ করে কৃষকেরা ভালো লাভবান হয়। তাই এবার গত মৌসুমের চেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয়েছে।
এজন্য দিন দিন দিনাজপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সরিষা চাষ। কম সময়ে ও স্বল্প পুঁজি ব্যয়ে বেশি লাভ হওয়ায় কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুকছে। অধিকাংশ কৃষক সরিষাক্ষেতে মৌমাছি চাষ করছে। মৌমাছি সরিষা ফুল থেকে মধু আহরণ করে ফলন বাড়ার পাশাপাশি কৃষকের হচ্ছে বাড়তি আয়।
দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার রাণীরবন্দর এলাকার কৃষক মোঃ আফজালুর রহমান মানিক হাওর বার্তাকে জানান, গত বছর বিঘাখানেক জমিতে সরিষা চাষ করে বেশ লাভবান হয় তিনি। গত মৌসুমে লাভবান হওয়ায় চলতি মৌসুমে তার পাঁচ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছে। মাটির সঠিক মান বজায় রেখে এখন সরিষা চাষ লাভ জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করলে মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা হয়। এজন্য কৃষি বিভাগ সরিষা চাষিদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিয়ে আসছে।
বিভাগের সহযোগিতায় কৃষকেরা বর্তমানে সরিষা চাষে লাভবান হচ্ছে। সরিষা চাষে তেমন খরচ হয় না। অন্যান্য ফসলের তুলনায় সরিষাক্ষেতে পানি সরবরাহ কম লাগে। তাই সেচ কাজেও তেমন অর্থ ব্যয় হয় না। চলতি মৌসুমে সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। গত বছরের মতো এবারও সরিষার বাজার দর ঠিক।