ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বপ্ন নিয়ে ধানের চারা বুনছেন কৃষকরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • ২৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গেল বার পোকায় শ্যাষ কইচ্ছে। ২ বিঘাত নাগাইছিনো, লাভ করিরে পাই নাই, দেখি এইবার কি হয়। লাভের আশা তো করিবারে নাগিবে”।

বলছিলেন নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের উত্তর কানিয়ালখাতা গ্রামের কৃষক নিরানন্দ রায়।

তিনি বলেন, এক বিঘা জমিত বীছোন থাকি শুরু করি কাটা পর্যন্ত ছয় হাজার টাকার উপোরোত খরচ হয়। ব্যাঁচের সময় দেখা যায় ধানের দামে নাই। এইবার ৩বিঘাত নাগাইনো, যা আছে হইবে কপালোত।

একই এলাকার আরেক কৃষক রোস্তম আলী। ৫বিঘা জমিতে লাগাচ্ছেন ইরি-বোরো ধানের চারা। গেল মৌসুমে লোকসানের কথা মাথায় রেখে লাভের আশায় এবারও জমিতে স্বপ্ন বুনছেন।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, কারেন্টের দাম বাড়ি গেইছে, সেচের খরচ বাড়িছে, বেশি টাকা দিয়াও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আবাদোত খরচ অনেক বাড়ি গেইছে। তার উপর ধানের বাজার নাই। বিঘা প্রতি ১৪/১৫মন ধান পাওয়া যায়। ব্যাচেঁয়া খরচের টাকাও হয় না।

তিনি অভিযোগ করেন, হামরা চারা নাগাইছি। বিএসগুলাক খুঁজিও পাওয়া যায় না। পোকা ধরিলে পরামর্শ নেমো, সেটাও জানিবার পাই না।

এ রকম নানা শংকা নিয়ে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর কৃষকরা। কোথাও বীজ তোলা, কোথাও হাল চাষ, কোথাও সেচ দেওয়া আবার কোথাও চারা রোপণের কাজ চলছে জেলার প্রান্ত জুড়ে।

পানিতে টইটুম্বুর তিস্তা ক্যানেল, স্বপ্ন নিয়ে চারা বুনছেন কৃষকরা 

এমন চিত্র দেখা গেছে নীলফামারী শহরের মধ্য হাড়োয়া, কুখাপাড়া, কুন্দপুকুর, চড়াইখোলা, ইটাখোলা, টুপামারী, কচুকাটা, লক্ষ্মীচাপ, চাপড়া সরমজানী, চওড়া বড়গাছা, পলাশবাড়ি, খোকশাবাড়িসহ ডোমার উপজেলার সোনারায়, ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া, জলঢাকা উপজেলার টেঙ্গণমারী, কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী, নিতাই, গাড়াগ্রাম ও সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি, কাশিরাম বেলপুকুর ও কামারপুকুর ইউনিয়ন ঘুরে।

মাঘের কনকনে শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইরি বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। সচরাচর হাজিরা ভিত্তিতে দৈনিক কাজ করলেও পুরোনো পরিচিতি হারিয়েছে এই সময়ে।

দলবদ্ধ হয়ে চুক্তি ভিত্তিক জমিতে চারা রোপন করে দিচ্ছেন শ্রমিকরা। এমন চিত্র চোখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে।ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়াল খাতা তিস্তা সেচ ক্যানেল সংলগ্ন এলাকায় ৭/৮জনের দল রোপন করছেন ইরি বোরো চারা। বিঘা প্রতি ১হাজার টাকা চুক্তিতে কাজ করছেন তারা। লাগাবেন ৬বিঘা জমিতে।

দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, সেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমিতে থাকতে হয়। দেখা যায় ভাগ করে চার’শ টাকাও পাই না দৈনিক। তার উপর নাস্তা, দুপুরের খাবারও খেতে হয় নিজের টাকাই। তবে দলগত হয়ে কাজ করলে ভালোভাবে দিনটা কাটা যায় বলে জানান তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারী উপ-পরিচালকের কার্যালয় সুত্র জানায়, জেলায় ৮৪হাজার ২৭৯হেক্টর জমিতে এবারে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবারে।

আর চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩লাখ ৫৭হাজার ৩৫৮মেট্রিক টন। আবাদের ভরা মৌসুমে সেচের জন্য ৩২৮টি গভীর নলকুপ, ২৬হাজার অগভীর নলকুপ ব্যবহার করছেন কৃষকরা। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হওয়া জমিতে আবাদের জন্য বীজতলা করা হয়েছিলো ৪হাজার ৯৭০হেক্টর জমিতে। নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিব আবেদীন হিরু জানান, ইউনিয়নের বেশির ভাগ জমিতে লাইন এবং লোগোবো পদ্ধতি চারা রোপন করা হচ্ছে।

এজন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। দুই পদ্ধতির ফলে চারা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এছাড়া  পোকার আক্রমন থেকে রক্ষায় পার্চিং পদ্ধতিও করছেন এলাকার কৃষকরা।

কৃষকরা জমি তৈরি, বীজ তোলা, সেচের ব্যবহারসহ চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান রাকিব আবেদীন। জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আযাদ জানান, জেলার সর্বত্রই চলছে কৃষকদের আবাদেও ব্যস্ততা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বেশ জোড়ে সোড়ে চলছে চারা রোপণের কাজ।

ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও বেশি জমিতে চারা লাগানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি জমিগুলোতে চারা লাগানোর কাজ শেষ হবে। পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এবং মার্চ মাসের ১৫তারিখ পর্যন্ত ইরির বোরোর চারা লাগানো চলবে বলে জানান তিনি। এদিকে তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় ১০হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া সুত্র।

প্রকল্প এলাকার নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ১২টি উপজেলায় রেশনিং পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দফতরটি।পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তা সেচ প্রকল্পে ২হাজার কিউসেক পানি রয়েছে। যা দিয়ে কমান্ড এলাকায় নির্বিঘ্নে সেচ কার্যক্রম চালানো যাবে।

তবে লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। ডালিয়া সুত্র জানায়, তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০১০সালে ৪৬হাজার, ২০১১সালে ৫০হাজার, ২০১২সালে ৫৯হাজার, ২০১৩সালে ২৭হাজার, ২০১৪সালে ৮৫০০, ২০১৫সালে ১১হাজার এবং ২০১৬সালে ২০হাজার ২০২হেক্টর জমিতে ইরি বোরো আবাদ করা হয়।

ডিভিশনের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী জানান, প্রকল্পের আওতায় ১০০কিলোমিটার প্রধান খাল, ২৫০কিলোমিটার সেকেন্ডারী খাল এবং ২৮০কিলোমিটার টারশিয়ারী খাল রয়েছে।

ভরা এই মৌসুমে তিস্তা সেচ ক্যানেলে টাইটুম্বুর পানি দেখে বেশ খুশি কৃষকরা। তাদের দাবী এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবার আর কৃষকদের সেচ নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে না।

ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়াল খাতা গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, এবারে ৭বিঘা জমিতে বোরো করেছি। এখন সেচের কোন সমস্যা হচ্ছে না। ক্যানেলে অনেক পানি। জমিতেও দিচ্ছি।

আমরা চাই ক্যানেলটি এভাবেই থাক যাতে আবাদের সময় কৃষকরা দিগবিদিক ছুটোছুটি না করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

স্বপ্ন নিয়ে ধানের চারা বুনছেন কৃষকরা

আপডেট টাইম : ১২:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গেল বার পোকায় শ্যাষ কইচ্ছে। ২ বিঘাত নাগাইছিনো, লাভ করিরে পাই নাই, দেখি এইবার কি হয়। লাভের আশা তো করিবারে নাগিবে”।

বলছিলেন নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের উত্তর কানিয়ালখাতা গ্রামের কৃষক নিরানন্দ রায়।

তিনি বলেন, এক বিঘা জমিত বীছোন থাকি শুরু করি কাটা পর্যন্ত ছয় হাজার টাকার উপোরোত খরচ হয়। ব্যাঁচের সময় দেখা যায় ধানের দামে নাই। এইবার ৩বিঘাত নাগাইনো, যা আছে হইবে কপালোত।

একই এলাকার আরেক কৃষক রোস্তম আলী। ৫বিঘা জমিতে লাগাচ্ছেন ইরি-বোরো ধানের চারা। গেল মৌসুমে লোকসানের কথা মাথায় রেখে লাভের আশায় এবারও জমিতে স্বপ্ন বুনছেন।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, কারেন্টের দাম বাড়ি গেইছে, সেচের খরচ বাড়িছে, বেশি টাকা দিয়াও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আবাদোত খরচ অনেক বাড়ি গেইছে। তার উপর ধানের বাজার নাই। বিঘা প্রতি ১৪/১৫মন ধান পাওয়া যায়। ব্যাচেঁয়া খরচের টাকাও হয় না।

তিনি অভিযোগ করেন, হামরা চারা নাগাইছি। বিএসগুলাক খুঁজিও পাওয়া যায় না। পোকা ধরিলে পরামর্শ নেমো, সেটাও জানিবার পাই না।

এ রকম নানা শংকা নিয়ে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন নীলফামারীর কৃষকরা। কোথাও বীজ তোলা, কোথাও হাল চাষ, কোথাও সেচ দেওয়া আবার কোথাও চারা রোপণের কাজ চলছে জেলার প্রান্ত জুড়ে।

পানিতে টইটুম্বুর তিস্তা ক্যানেল, স্বপ্ন নিয়ে চারা বুনছেন কৃষকরা 

এমন চিত্র দেখা গেছে নীলফামারী শহরের মধ্য হাড়োয়া, কুখাপাড়া, কুন্দপুকুর, চড়াইখোলা, ইটাখোলা, টুপামারী, কচুকাটা, লক্ষ্মীচাপ, চাপড়া সরমজানী, চওড়া বড়গাছা, পলাশবাড়ি, খোকশাবাড়িসহ ডোমার উপজেলার সোনারায়, ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া, জলঢাকা উপজেলার টেঙ্গণমারী, কিশোরগঞ্জ উপজেলার পুটিমারী, নিতাই, গাড়াগ্রাম ও সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি, কাশিরাম বেলপুকুর ও কামারপুকুর ইউনিয়ন ঘুরে।

মাঘের কনকনে শীত উপেক্ষা করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ইরি বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। সচরাচর হাজিরা ভিত্তিতে দৈনিক কাজ করলেও পুরোনো পরিচিতি হারিয়েছে এই সময়ে।

দলবদ্ধ হয়ে চুক্তি ভিত্তিক জমিতে চারা রোপন করে দিচ্ছেন শ্রমিকরা। এমন চিত্র চোখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে।ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়াল খাতা তিস্তা সেচ ক্যানেল সংলগ্ন এলাকায় ৭/৮জনের দল রোপন করছেন ইরি বোরো চারা। বিঘা প্রতি ১হাজার টাকা চুক্তিতে কাজ করছেন তারা। লাগাবেন ৬বিঘা জমিতে।

দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, সেই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জমিতে থাকতে হয়। দেখা যায় ভাগ করে চার’শ টাকাও পাই না দৈনিক। তার উপর নাস্তা, দুপুরের খাবারও খেতে হয় নিজের টাকাই। তবে দলগত হয়ে কাজ করলে ভালোভাবে দিনটা কাটা যায় বলে জানান তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারী উপ-পরিচালকের কার্যালয় সুত্র জানায়, জেলায় ৮৪হাজার ২৭৯হেক্টর জমিতে এবারে ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবারে।

আর চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩লাখ ৫৭হাজার ৩৫৮মেট্রিক টন। আবাদের ভরা মৌসুমে সেচের জন্য ৩২৮টি গভীর নলকুপ, ২৬হাজার অগভীর নলকুপ ব্যবহার করছেন কৃষকরা। লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হওয়া জমিতে আবাদের জন্য বীজতলা করা হয়েছিলো ৪হাজার ৯৭০হেক্টর জমিতে। নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাকিব আবেদীন হিরু জানান, ইউনিয়নের বেশির ভাগ জমিতে লাইন এবং লোগোবো পদ্ধতি চারা রোপন করা হচ্ছে।

এজন্য কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ এবং উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। দুই পদ্ধতির ফলে চারা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে। এছাড়া  পোকার আক্রমন থেকে রক্ষায় পার্চিং পদ্ধতিও করছেন এলাকার কৃষকরা।

কৃষকরা জমি তৈরি, বীজ তোলা, সেচের ব্যবহারসহ চারা রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বলে জানান রাকিব আবেদীন। জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারীর উপ-পরিচালক আবুল কাশেম আযাদ জানান, জেলার সর্বত্রই চলছে কৃষকদের আবাদেও ব্যস্ততা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বেশ জোড়ে সোড়ে চলছে চারা রোপণের কাজ।

ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও বেশি জমিতে চারা লাগানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি জমিগুলোতে চারা লাগানোর কাজ শেষ হবে। পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে এবং মার্চ মাসের ১৫তারিখ পর্যন্ত ইরির বোরোর চারা লাগানো চলবে বলে জানান তিনি। এদিকে তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় ১০হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া সুত্র।

প্রকল্প এলাকার নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ১২টি উপজেলায় রেশনিং পদ্ধতিতে সেচ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে দফতরটি।পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিস্তা সেচ প্রকল্পে ২হাজার কিউসেক পানি রয়েছে। যা দিয়ে কমান্ড এলাকায় নির্বিঘ্নে সেচ কার্যক্রম চালানো যাবে।

তবে লক্ষ্যমাত্রা আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি। ডালিয়া সুত্র জানায়, তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় ২০১০সালে ৪৬হাজার, ২০১১সালে ৫০হাজার, ২০১২সালে ৫৯হাজার, ২০১৩সালে ২৭হাজার, ২০১৪সালে ৮৫০০, ২০১৫সালে ১১হাজার এবং ২০১৬সালে ২০হাজার ২০২হেক্টর জমিতে ইরি বোরো আবাদ করা হয়।

ডিভিশনের সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাফিউল বারী জানান, প্রকল্পের আওতায় ১০০কিলোমিটার প্রধান খাল, ২৫০কিলোমিটার সেকেন্ডারী খাল এবং ২৮০কিলোমিটার টারশিয়ারী খাল রয়েছে।

ভরা এই মৌসুমে তিস্তা সেচ ক্যানেলে টাইটুম্বুর পানি দেখে বেশ খুশি কৃষকরা। তাদের দাবী এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এবার আর কৃষকদের সেচ নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে না।

ইটাখোলা ইউনিয়নের কানিয়াল খাতা গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ জানান, এবারে ৭বিঘা জমিতে বোরো করেছি। এখন সেচের কোন সমস্যা হচ্ছে না। ক্যানেলে অনেক পানি। জমিতেও দিচ্ছি।

আমরা চাই ক্যানেলটি এভাবেই থাক যাতে আবাদের সময় কৃষকরা দিগবিদিক ছুটোছুটি না করেন।