হাওর বার্তা ডেস্কঃ সাতক্ষীরায় বোরো আবাদের ধুম পড়েছে। প্রচণ্ড শীত, কুয়াশা, বীজতলা নষ্ট হওয়াসহ নানা প্রতিক‚লতা উপেক্ষা করে সকাল থেকে দুপুর অবধি ধান লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে জেলার সাতটি উপজেলার ৭৩ হাজার ৮৬২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলার ২৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর, কলারোয়ার ১২ হাজার ২৮০ হেক্টর, তালার ১৮ হাজার ২০০ হেক্টর, দেবহাটার ৬ হাজার ৩০ হেক্টর, কালিগঞ্জের ৫ হাজার ৩৪০ হেক্টর, আশাশুনির ৬ হাজার ৫১০ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলার ১ হাজার ৬৫২ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে চলতি বোরো মৌসুমে ৩ লাখ ৬২৬ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯৭ হাজার ৫১৭ মেট্রিক টন, কলারোয়ায় ৪৮ হাজার ৭৮৫ মেট্রিক টন, তালায় ৭৩ হাজার ৭৮ মেট্রিক টন, দেবহাটায় ২৫ হাজার ১৮৯ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জে ২১ হাজার ৭৯৬ মেট্রিক টন, আশাশুনিতে ২৭ হাজার ৫৪৪ মেট্রিক টন ও শ্যামনগরে ৬ হাজার ৭১৭ মেট্রিক টন বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজলপুর গ্রামের কৃষক আবু সিদ্দিক জানান, তিনি তিন বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগানোর জন্য বীজতলা করেছিলেন। কিন্তু তার বীজতলার অর্ধেকটা লালচে বর্ণ ধারণ করে নষ্ট হয়ে যায়। এতে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়লেও চারা কিনে বোরো আবাদ করেছেন তিনি। পানি সেচের সংকট না হলে লোকসান কাটিয়ে ওঠা যাবে উল্লেখ করে শুষ্ক মৌসুমে বিদ্যুতের লোডশেডিং না দেওয়ার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের কৃষক দিলীপ তরফদার জানান, তিনি দুই বিঘা জমিতে ২৮ ধান লাগিয়েছেন। প্রয়োজনের সময় অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমে সেচ সংকট না হলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মান্নান জানান, সাতক্ষীরায় খুব ভাল ধান হয়। খুব সহজেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। তবে, উৎপাদন যেহেতু প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ-বালাইসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে তাই কিছুটা সংশয় থেকেই যায়। যদিও সকল প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করার জন্য কৃষি বিভাগ কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।