জয় নিয়ে প্লে অফ পর্ব নিশ্চিত হতে পারতো কলকাতা নাইট রাইডার্সের। এতে আলাদা আলো পড়তো হয়তো সাকিব আল হাসানের ওপর। কিন্তু বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ভাল অবস্থান থেকে ম্যাচ হাতছাড়া করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচ সংবাদমাধ্যমের তীর পিযুশ চাওলার দিকে। ৭ বলে মাত্র ১ রান করেন পিযুশ চাওলা। কলকাতা ম্যাচ হারে ৫ রানে। তবে কলকাতার হার শেষে পিযুশ চাওলার পাশে দাঁড়ালেন সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার বলেন, শেষ ওভারে পোলার্ড (কাইরন) ভাল বল করেছেন। বিপরীতে আমাদের শট বাছাই আরও ভাল হতে পারতো। শেষ ওভারে জয়ের জন্য আমাদের ১২ রান প্রয়োজন ছিল। যে কোন ব্যাটসম্যানের ওপর এটা বিরাট চাপের বিষয়। এ সময় সঠিক শট খেলতে না পারলে হয়ে ওঠে আরও কঠিন। এতে পরিস্থিতি কখনও আপনার পক্ষে আবার কখনও যাবে বিরুদ্ধে। আমরা সকলেই রক্ত-মাংসের মানুষ । আর ভুল করি আমরা সবাই-ই। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষে আইপিএলে প্রত্যাবর্তনেই ব্যাট-বলে অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখান সাকিব আল হাসান। মুম্বইয়ের বিপক্ষে বল হাতে ৪ ওভারের স্পেলে ২২ রানে সাকিব নেন দুই উইকেট। ম্যাচে কলকাতার সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার সাকিব-ই।
এতে ১৬ ওভার শেষে মুম্বইকে দলীয় ১০০ রানের আশপাশে বেঁধে রাখে কেকেআর। কিন্তু কলকাতার বাকি তারকারা শেষের চার ওভারে দেখান লাগামঢিলা বোলিং। এতে ইনিংসের শেষ চার ওভারে মুম্বই তুলে নেয় ৫৯ রান। সাকিব আল হাসান বলেন, শেষ পাঁচ ওভারে তারা ৭০ রান পেল। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন হতেই পারে। আমরা আমাদের সেরাটার কাছাকাছি নৈপুণ্যও দেখাতে পারিনি। জয়ের একবারে কাছাকাছি ছিলাম আমরা। সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় আমরা হতাশ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুই ওভারই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। এমন আরও একবার দেখা গেল। প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াই কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ১৩ ম্যাচে রাজস্থানের ১৪ ও কলকাতার ১৫ পয়েন্ট। সাকিব আল হাসান বলেন, ম্যাচটি আমাদের জন্য ‘কর নয় মর’ । প্লে অফ পর্বে যেতে হলে জয় চাই আমাদের। এ ম্যাচের আগে আমাদের কিছু বিষয়ে উন্নতির অবকাশ দেখছি। নিজেদের শতভাগ দিতে পারলে জয় পাবো আমরাই। বৃহস্পতিবার বল হাতে আমাদের শুরুটা ছিল দারুণ। কিন্তু শেষ পাঁচ ওভারে আমরা দিকভ্রান্ত হলাম। পরে ব্যাট হাতে আমরা ক্রিজে সেট হয়েও ম্যাচ বের করতে পারলাম না। শেষ ম্যাচে এসব করা যাবে না।
বৃহস্পতিবার টস হেরে প্রথমে ব্যাটে গিয়ে মুম্বই ৪ উইকেটে ১৭১ রান করে। জবাবে ৭ উইকেটে ১৬৬ রান তুলতে পারে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্স। ব্যাট হাতে সাকিব ১৫ বলে ৩ চারে করেন ২৩ রান।
আইপিএলের পয়েন্ট টেবিল
দল ম্যাচ জয় হার পরিত্যক্ত পয়েন্ট
চেন্নাই সুপার কিংস ১৩ ৮ ৫ ০ ১৬
কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৩ ৭ ৫ ১ ১৫
সানরাইজার্স হায়দারাবাদ ১২ ৭ ৫ ০ ১৪
মুম্বই ইন্ডিয়ানস ১৩ ৭ ৬ ০ ১৪
রাজস্থান রয়্যালস ১৩ ৬ ৫ ২ ১৪
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ১২ ৬ ৫ ১ ১৩
দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ১৩ ৫ ৮ ০ ১০
কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ১৩ ৩ ১০ ০ ৬