হাওর বার্তা ডেস্কঃ শাকিব অপুকে এক করে দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক ভক্তের করণ আকুতি। আসসালামু আলাইকুম মানণীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি একজন বাংলাদেশের খুব সাধারন নাগরিক। আমি কখন ও আপনার কাছে আমার নিজের জন্য কিছু চাইনি,আজ আপনার কাছে আমার দুহাত বাড়িয়ে দিলাম,,আশা করি আপনি আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না। আমি বিশ্বাস করি আপনি একজন মহান & উদার মনের মানুষ আপনি আপনার বাবার আদশে গড়ে ওঠেছেন। বঙ্গ বন্ধু শেখ মজিবুর রহমান যেমন বাংলাদেশকে
সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেছেন এবং সোনার বাংলার মানুষের প্রতি ছিল অগাধ ভালোবাসা। আপনি সেই বাবার যোগ্য কন্যা,,আমি মনে করি আপনি ও ন্যায় বিচার করবেন। তাই আমি আপনার কাছে একটি অনুরোধ করছি আমার অনুরোধের মূল বিষয় হচ্ছে, বাংলা চলচিত্রের সেরা এবং এখনকার সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী “Queen Apu Biswas এবং দুই বাংলার Superstar অভিনেতা শাকিব খান, আপনি নিশ্চয় জানেন যে, অপু বিশ্বাস এবং শাকিব খানের জীবন কাহিনী।
তবুও আমি আপনার কাছে তাদের কিছু বিষয় তুলে ধরলাম,,আমাদের জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। খুব সুখেই কাটছিল দুজনার সুখের সংসার।কথাই আছে সুখ কার ও জীবনে বেশিদিন থাকেনা অপুর জীবনে ও তাই হল, হঠাৎ করে উড়ে এসে বসল বুবলি নামে এক নবাগত নায়কা। তখন থেকে নেমে এল অপু বিশ্বাসের সংসারে অন্ধকার।এরি মধ্যে অপু বিশ্বাসের খোল জুড়ে এল শাকিব–অপুর ফুটফটে ফুলের মত সন্তান আব্রাহাম খান জয়।
তবু অপু বিশ্বাস শাকিব খানের ক্যারিয়ারের কথা ভেবে বিয়ে এবং সন্তানের কথা গোপন রেখেছেন। যখন বুবলি আর শাকিব খানকে নিয়ে লোকের মুখে প্রেমের গুন্জন শুনতে পেল, তখন অপু বিশ্বাস নিজের ও সন্তানের অধিকার আদায়ের জন্য মিডিয়ার সামনে আসতে বাধ্য হয়। অপুর হঠাৎ মিডিয়ার সামনে আশাটা শাকিব খান মানতে পারেনি,তাই বিয়ে এবং সন্তানের কথা অস্বীকার করেন শাকিব। পরিস্থিতির চাপে পড়ে শাকিব জয়কে মেনে নিলে ও অপুকে মন থেকে মেনে নিতে পারনি।
বেশ কিছুদিন কেটে গেল এভাবে, শাকিব খাান কাজের দোহাই দিয়ে অপু ও জয়ের কাছ থেকে দূরে থাকে। অপুর সাথে কোনরকম যোগাযোগ ও রাখেনি, এমনকি অপুর ফোন নাম্বার ও ব্ল্যাক লিস্টে রেখে দিছে। বিভিন্নভাবে খবর পেলাম শাকিব নাকি বুবলির প্রেমে হাবুডুবি খাচ্ছে। তাই সে কিছু লোকের পাল্লায় পড়ে অপু বিশ্বাসকে ডিভোসের সিদ্ধান্ত নেয়। অপুকে ডিভোস দিতে গেলে কিছু দোষ দেখাতে হবে তাই, যেই অপু অসুস্থ হয়ে জয়কে বাসায় রেখে কলকাতায় যায় চিকিৎসার জন্য তখনি আমাদের শ্রদ্ধেয় বড় ভাই শাকিব খান খবর পেয়ে তার কাজ রেখে দেশে চলে আসে।
যেই কাজের জন্য শাকিব তার সন্তান জন্মের সময় দেখতে যেতে পারেনি,তখন পেল অপুকে দায়ী করার। সেটা যদি অপুর দোষ হয়ে থাকে মানণীয় প্রধান মন্ত্রী আপনিই বলেন এতদিন কোথায় ছিল বাবার ভালোবাসা যখন মায়ের পাশাপাশি বাবার ভালোবাসা দরকার হয়। যাই হোক,মানণীয় প্রধান মন্ত্রী এতকিছু লেখে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করতে চাইনা।
শাকিব-অপুর ঝামেলা মেটানোর একটি সালিশ বসেছিল,সেখানে গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্হিত ছিলেন, সময়মত অপু বিশ্বাস সেখানে উপস্হিত থাকলে ও উপস্হিত হতে পারেননি শাকিব খান। এমনকি সেখানে শাকিব খানের পক্ষ কোন সরকারী আইনজীবি ও সেখানে উপস্হিত ছিলেন না। সালিশে অপু বিশ্বাস বললেন, আমার সন্তানের কথা ভেবে আমি শাকিবের সাথে সংসার করতে চাই,,আর ও বললেন শাকিবের জন্য আমি আমার হিন্দু ধম ত্যাগ করে মুসলমান হয়েছি তাই শাকিবের সাথে আমি সংসার করতে চাই।
তাই মানণীয় প্রধান মন্ত্রী আপনার কাছে “বিনিতভাবে অনুরুদ করছি আপনি দ্রুত শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস দুইজনকে একসাথে ডেকে তাদের মধ্যে যা ভূল বুঝাবুঝি হয়েছে সব মিটিয়ে দিবেন। জয়ের জন্য হলেও তাদের দুজনকে আপনি এক করে দিবেন।
মানণীয় প্রধান মন্ত্রী আপনার কাছে আবার ও দুহাত তুলে বিনিতভাবে অনুরোধ করছি শাকিব অপুকে আপনি এক করে দিন।এটা আমার একার চাওয়া না এটা সারা বাংলাদেশের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষের চাওয়া।আমরা সবাই শাকিব অপুর মিল দেখতে চাই। আশা করি আপনি শাকিব অপুর খুব তারাতারি ভালো একটা সিদ্ধান্ত নিবেন। আমরা সবাই আপনাকে আমাদের সবার তরফ থেকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই।