ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জ থেকে বস্তায় ভরে ৫ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া সেই সেতাফুল গ্রেপ্তার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:১৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৪৫১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বস্তায় ভরে দুর্নীতির পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া কিশোরগঞ্জের সেই আলোচিত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভূমি অধিগ্রহণের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে এই সিনিয়র সহকারী সচিবকে (পিরোজপুর জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা) গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সমন্বিত একটি টিম অভিযান চালিয়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পিরোজপুর সার্কিট হাউসের সামনে থেকে সেতাফুল ইসলামকে আটক করে বলে হাওর বার্তাকে নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। দুদকের সহকারী পরিচালক রামপ্রসাদ বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়েরের পরপরই বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

সেতাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলায় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বস্তায় ভরে পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। কিশোরগঞ্জে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরপরই

তাঁকে সেখান থেকে পিরোজপুর জেলায় অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। দুদক সূত্রে জানা গেছে, সেতাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনুমোদিত ভূমি অধিগ্রহণের (এল-কেস) সরকারি পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। অভিযোগ ওঠে, একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশ করে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের প্রায় ১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন। এরই মধ্যে পর পর দুই দিনে তিনি সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখা থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তুলে বস্তায় ভরে নিয়ে যান—এমন অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে দুর্নীতিবাজ অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলামকে নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর সরকারের ওপর মহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। দুদকও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় সেতাফুলের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয় কমিশন। অনুমোদন পাওয়ার পরপরই কিশোরগঞ্জে দুদক কর্মকর্তা মামলা দায়ের করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কিশোরগঞ্জ থেকে বস্তায় ভরে ৫ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া সেই সেতাফুল গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ১০:১৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বস্তায় ভরে দুর্নীতির পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া কিশোরগঞ্জের সেই আলোচিত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভূমি অধিগ্রহণের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে এই সিনিয়র সহকারী সচিবকে (পিরোজপুর জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা) গতকাল বুধবার গ্রেপ্তার করা হয়।

দুদকের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সমন্বিত একটি টিম অভিযান চালিয়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পিরোজপুর সার্কিট হাউসের সামনে থেকে সেতাফুল ইসলামকে আটক করে বলে হাওর বার্তাকে নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। দুদকের সহকারী পরিচালক রামপ্রসাদ বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়েরের পরপরই বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।

সেতাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলায় ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বস্তায় ভরে পাঁচ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। কিশোরগঞ্জে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরপরই

তাঁকে সেখান থেকে পিরোজপুর জেলায় অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়। দুদক সূত্রে জানা গেছে, সেতাফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনুমোদিত ভূমি অধিগ্রহণের (এল-কেস) সরকারি পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। অভিযোগ ওঠে, একটি সিন্ডিকেটের সঙ্গে যোগসাজশ করে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের প্রায় ১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গেছেন। এরই মধ্যে পর পর দুই দিনে তিনি সোনালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখা থেকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা তুলে বস্তায় ভরে নিয়ে যান—এমন অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।

কালের কণ্ঠের অনুসন্ধানে দুর্নীতিবাজ অধিগ্রহণ কর্মকর্তা সেতাফুল ইসলামকে নিয়ে একটি বিশেষ প্রতিবেদন ছাপা হওয়ার পর সরকারের ওপর মহলে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। দুদকও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় সেতাফুলের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয় কমিশন। অনুমোদন পাওয়ার পরপরই কিশোরগঞ্জে দুদক কর্মকর্তা মামলা দায়ের করেন।