বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে অন্যতম ভূমিকা রাখছে ফেসবুক- টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতারা খুবই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে তাদের প্রতিষ্ঠিত যোগাযোগ মাধ্যম গুলো মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন। ২০০৬ সালের মার্চ মাসে যাত্রা শুরু করা টুইটার ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছে। ১৪০ ওয়ার্ডের এই সীমিত তথ্য আদান-প্রদান করতে পারা যোগাযোগ মাধ্যমটির প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডর্সি ।
২০১০ সালের ৩১শে অক্টোবর নাগাদ টুইটারে ১৭৫ মিলিয়ন অর্থাৎ ১৭.৫ কোটিরও বেশি সদস্য ছিলো। অন্যান্য পরিসংখ্যান অনুসারে একই সময়ে টুইটারের ১৯০ মিলিয়ন বা ১৯ কোটি সদস্য ছিলো এবং দিনে ৬৫ মিলিয়ন বা সাড়ে ৬ কোটি টুইট বার্তা এবং ৮ লাখ অনুসন্ধানের কাজ সম্পন্ন হতো।
বর্তমান সময়ে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন সেলিব্রিটিরা অহরহ ইনকাম করছেন। ইনকামের পিছনে মূল কারণটি হচ্ছে এইসব প্রতিষ্ঠানের মালিকরা ভালো করেই জানেন এই তারকাদের ফলো করেন বিশ্বের আনাচে-কানাছে ছড়িয়ে ছিটেয়ে থাকা তার লক্ষ-কোটি ভক্ত সমর্থক। তাদের মধ্যে ফুটবল তারকাদের ব্যপারটি বিশেষভাবে লক্ষনীয়। কি নেইমার, কি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, কিংবা রুনি। পিছিয়ে নেই হ্যাজার্ডও।
সম্প্রতি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ওপেনডোর্স জানিয়েছে, শুধু মাত্র গত বছরই টুইটার থেকে রোনালদো আয় করেছেন ৭.৯ কোটি মার্কিন ডলার বা ৬১৬ কোটি টাকা। এবার জানা গেল, একটি টুইট করেই রোনালদোর আয় করতে পারেন প্রায় ৩ কোটি টাকারও বেশি!
টুইটারে আয়ের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন ব্রাজিলিয়ান গ্রেট তারকা নেইমার। তিনি নাকি একটি টুইট করেই আয় করতে পারেন ৯৮ হাজার পাউন্ড (১ কোটি ১৬ লাখ টাকা)।
এর পরের অবস্থান ওয়েইন রুনি। প্রতি টুইটে রুনি আয় করতে পারেন ৬০ হাজার পাউন্ড (৭২ লাখ টাকা)।
এই তালিকার শীর্ষ দশে আরও আছেন মেসুত ওজিল, রাদামেল ফ্যালকাও, সার্জিও আগুয়েরো, সেস ফ্যাবিগ্রাস, গ্যারেথ বেল, লুইস সুয়ারেজ, এডেন হ্যাজার্ড।
এতক্ষন পড়ার পর নিশ্চিয় মেসি ভক্তদের মনে প্রশ্নের উঁকি দিতে পারে তাদের স্বপ্নের তারকা মেসির নাম নাই কেন ইনকামের এ তালিকায়? ব্যপারটি অদ্ভত মনে হলেও চরম সত্য যে এখন পর্যন্ত আর্জেন্টাইন এ গ্রেট তারকার কোন টুইটার এ্যাকাউন্ট খুলেনি।
যেখানে মেসি-নেইমারে সমর্থক রীতিমত তাদের তারকাকে এগিয়ে রাখছেন অন্য তারকা থেকে। কে কার দিক পিছিয়ে সেটি দেখছেন খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। সেখানে কিনা মেসির মত ফুটবল জাদুকরের থাকবেনা টুইটার এ্যাকাউন্ট সেটি কি মেনে নিতে পারবেন তার সমর্থকরা? মেসির টুইটার এ্যাকাউন্ট থাকলে হয়তো তিনিও পিছিয়ে থাকতেন না নেইমার কিংবা রোনালদো থেকে। চলতো অদম্য প্রতিযোগীতা সেটি সবারই জানা।