হাওর বার্তা ডেস্কঃ দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে আবারো রিয়াল সোসিয়েদাদের মাঠে ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে নাটকীয় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এরনেস্তো ভালভেরদের দল।
আনোয়েতায় লা লিগার ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। পাওলিনিয়ো ব্যবধান কমানোর পর জোড়া গোলে দলকে এগিয়ে দেন লুইস সুয়ারেস। আর শেষদিকে দলের চতুর্থ গোলটি করেন লিওনেল মেসি।
লিগে সোসিয়েদাদের মাঠে গত সাত ম্যাচের পাঁচটিতে হেরেছিল বার্সেলোনা, বাকি দুটি ড্র।
সোসিয়েদাদের মাঠে গত ১০ বছরে বারবার ব্যর্থ হওয়া বার্সেলোনা গতকাল রাতে ম্যাচের শুরুতেই গোল খেয়ে বসে। ডান দিক থেকে চাবি প্রিয়েতোর দারুণ ক্রসে ঝুঁকে নেওয়া হেডে বল জালে জড়ান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড উইলিয়ান জোসে।
২৮ মিনিটে আবারো জালে বল পাঠিয়েছিলেন জোসে। কিন্তু তার শট নেওয়ার ঠিক আগে ইভান রাকিতিচ আরেক জনের পায়ে লেগে পড়ে গেলে বিতর্কিত ফ্রি-কিক দেন রেফারি। তিন মিনিট পর স্প্যানিশ মিডফিল্ডার সের্হিও কানালেসের নিচু শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন।
৩৪ মিনিটে আর দলকে দ্বিতীয় গোল খাওয়া থেকে বাঁচাতে পারেননি জার্মান গোলরক্ষক। ডি-বক্সে ডান দিক থেকে স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড হুয়ানমির শট সের্হিও রবের্তোর পায়ে লেগে পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়ায়।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান কমান পাওলিনিয়ো। বাঁ দিক থেকে সুয়ারেসের পাস ছয় গজ বক্সে পেয়ে জালে ঠেলে দেন ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার। বার্সেলোনার জার্সিতে এটা তার অষ্টম গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান সুয়ারেস। মেসির পাস পেয়ে ডি-বক্সের মধ্যে বাঁ-দিক থেকে দারুণ বাঁকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। সোসিয়েদাদের মাঠে এটাই উরুগুয়ের স্ট্রাইকারের প্রথম গোল।
৭১ মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলের সুযোগে দলকে এগিয়ে দেন সুয়ারেস। গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলির দুর্বল শট মাঝমাঠের কাছে পেয়ে জোরালো হেডে সামনে বাড়ান ভারমালেন। আর তা ডি-বক্সে ধরে এবারের লিগে নিজের ১৩ গোলটি করেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।
আর ৮৫ মিনিটে চমৎকার এক ফ্রি-কিকে জয়সূচক গোলটি করেন মেসি। এবারের লিগে এই নিয়ে সর্বোচ্চ ১৭ গোল করলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
১৯ ম্যাচে ১৬ জয় ও তিন ড্রয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫১। ৯ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। তৃতীয় স্থানে থাকা ভালেন্সিয়ার পয়েন্ট ৪০।
৩২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ১৯ ম্যাচ খেলা ভিয়ারিয়াল।