হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুয়ালালামপুর, ১৪ জানুয়ারি- পৃথক অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়ায় আরও ১২১ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ। তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে । এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিশেষ অভিযান চালিয়ে মানবপাচার চক্রের হোতাসহ ৫১ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছিল।
মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার পৃথক অভিযান চালিয়ে মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গুর রাজ্যের সেকশন ২৮ শাহ আলম এলাকা থেকে ৫১ জন এবং সুবাং জায়া থেকে ১২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তাফার আলী এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, আবদুল রউফ নামে এক বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি বিভিন্ন সময় বাংলাদেশের মানুষকে মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে নিয়ে এসেছেন। তিনি এখানে ‘আবাং বাংলা’ নামেও পরিচিত।
২০১৩ সালে ইটভাটায় কাজ করতে মালয়েশিয়ায় যান রউফ। তার বিরুদ্ধে মানবপাচারবিরোধী আইনে মামলা হবে। অন্যদের বিরুদ্ধে অভিবাসন আইনে মামলা হবে।
দাতুক সেরি মুস্তাফা জানান, এই চক্রের ৫১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বয়স ২০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। তাদের কাছ থেকে ৪৮টি পাসপোর্ট এবং ১৩ হাজার রিঙ্গিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, পাচারকারীরা বাংলাদেশিদের প্রথমে বিমানে করে ঢাকা থেকে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় নিয়ে আসেন। পরে সেখান থেকে তাদের মালাক্কা প্রণালীর এক জায়গায় এনে রাখা হয়। সুযোগ ও সময় মতো তাদের সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় আনা হতো। এ জন্য প্রত্যেক বাংলাদেশির কাছ থেকে ১৫-২০ হাজার রিঙ্গিত (তিন লাখ ১৪ হাজার টাকা থেকে চার লাখ ১৮ হাজার টাকা) নেয়া হতো।
কেউ টাকা দিতে না পারলে তাকে সেখানেই রেখে দেয়া হতো। টাকা বুঝে পাওয়ার পরই তাদের মালয়েশিয়ার নিয়োগকারীদের হাতে তুলে দেয়া হতো বলে জানান অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক।
এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট ও অবৈধ সেক্টরে কাজ করার দায়ে সুবং জয়াতে আলাদা এক অভিযানে ১২১ বাংলাদেশি, ৬০ ভারতীয় ও দুই পাকিস্তানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান মুস্তাফা।