ঢাকা ০৮:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ঝরে যাচ্ছে পান

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৮
  • ২৩৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে ছত্রাকজনিত অজ্ঞাত রোগে ঝালকাঠিতে পচে যাচ্ছে পান। ফলে প্রথম দিকে বাজারে সরবরাহ খুব বেড়ে যাওয়ায় কমে গিয়েছিলো পানের দাম। বর্তমানে পানের সংকট থাকায় চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ফলে ব্যাংক ঋণ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা।

শীত মৌসুমের আগে পানচাষিরা বাজারে এক চল্লি (৩৬ পিস) ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করলেও বর্তমানে পান সংকটের কারণে প্রতি চল্লি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে সেই পান বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাট-বাজারে।

নলছিটি উপজেলার পানের গ্রাম হিসেবে পরিচিত ‘বারকইকরন’র পানচাষি অলিউর রহমান জানান, তার ৩০ শতাংশ জমিতে পানের বরজ রয়েছে। অজ্ঞাত রোগে পান ঝরে যাচ্ছে। এতে তার ৪০ হাজার টাকার পান নষ্ট হয়েছে। সদর উপজেলার বারই বাড়ি এলাকার পানচাষি অসীম মণ্ডল জানান, তার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমরা চাষিদের পাশে আছি। সবসময় চাষিদের প্রয়োজনানুযায়ী পরামর্শ দিচ্ছি। প্রাকৃতিক কারণে এখন পানচাষিদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় ঝরে যাচ্ছে পান

আপডেট টাইম : ১২:১৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে ছত্রাকজনিত অজ্ঞাত রোগে ঝালকাঠিতে পচে যাচ্ছে পান। ফলে প্রথম দিকে বাজারে সরবরাহ খুব বেড়ে যাওয়ায় কমে গিয়েছিলো পানের দাম। বর্তমানে পানের সংকট থাকায় চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। ফলে ব্যাংক ঋণ নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা।

শীত মৌসুমের আগে পানচাষিরা বাজারে এক চল্লি (৩৬ পিস) ২৫ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করলেও বর্তমানে পান সংকটের কারণে প্রতি চল্লি ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে সেই পান বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাট-বাজারে।

নলছিটি উপজেলার পানের গ্রাম হিসেবে পরিচিত ‘বারকইকরন’র পানচাষি অলিউর রহমান জানান, তার ৩০ শতাংশ জমিতে পানের বরজ রয়েছে। অজ্ঞাত রোগে পান ঝরে যাচ্ছে। এতে তার ৪০ হাজার টাকার পান নষ্ট হয়েছে। সদর উপজেলার বারই বাড়ি এলাকার পানচাষি অসীম মণ্ডল জানান, তার ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হবে।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমরা চাষিদের পাশে আছি। সবসময় চাষিদের প্রয়োজনানুযায়ী পরামর্শ দিচ্ছি। প্রাকৃতিক কারণে এখন পানচাষিদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে আসলে আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।