রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদা ও কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এটা সর্বজন স্বীকৃত যে শিক্ষা জ্ঞান অর্জনের মূল ভিত্তি, আর সাক্ষরতা এর প্রাথমিক সোপান।
সাক্ষরতার মাধ্যমে জ্ঞান অর্জনের দ্বার উন্মুক্ত হয়, আর জ্ঞান মানুষকে দক্ষ ও আলোকিত করে গড়ে তোলে। দক্ষ মানুষই জনসম্পদ হিসেবে বিবেচিত। জনসম্পদ একটি জাতির উন্নয়নের চাবিকাঠি। ‘রূপকল্প ২০২১’ এর অন্যতম মূল লক্ষ্য হচ্ছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়া এবং বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত গতিতে উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বব্যাংকের ২০১৪ সনের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আশা করা যায় বাংলাদেশ ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে সক্ষম হবে।
আর্থসামাজিক উন্নয়নে শিক্ষা অপরিহার্য। শিক্ষার হার উন্নয়নের মাপকাঠিও বটে। যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি উন্নত। বর্তমান সরকার শিক্ষার প্রসার ও নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘খরঃবৎধপু ধহফ ঝঁংঃধরহধনষব ঝড়পরবঃরবং’ বাংলাদেশের আকাক্সক্ষা ও প্রত্যয়ের অভিব্যক্তির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ অনুষ্ঠান ও কর্মকা-ের মাধ্যমে উদ্যাপন করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ গ্রহণ করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই। নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে দলমতনির্বিশেষে সবাই একযোগে কাজ করব-এটাই এবারের আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের অঙ্গীকার।
আমি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৫ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”