হাওর বার্তা ডেস্কঃ জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামীকাল অসমাপ্ত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ৮ম দিনের মতো হাজিরা দিতে বিশেষ আদালতে যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামানের আদালতে ৭ম দিন শেষে ৮ম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আগামীকাল।
এদিন রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার পক্ষে ৮ম দিনের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবেন। একই দিন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্যও দিনটি ধার্য করা হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাইল্লাহ মিয়া এ বিয়ষটি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে যাবেন বেগম জিয়া।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাস ভবন (ফিরোজা) থেকে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসায় স্থাপিত আদালতের উদ্দেশে রওনা দিয়ে আগামীকাল সকাল ১১ টার দিকে বেগম খালেদা জিয়া বিশেষ আদালতে উপস্থিত হবেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
অন্যদিকে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরো একটি মামলা করে দুদক।
এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমান ছাড়াও বাকি আসামিরা হলো: ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।