ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিশু আইলানের বিশ্ব কাঁপানো ছবিটি তুলেছেন যিনি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৫৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫
  • ৪৫৫ বার

শিশু আয়লানের নাম অনেকেরই জানা। সৈকতে ওই সিরীয় শিশুর লাশ পড়ে থাকার ছবি নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শরণার্থী নীতিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। তবে কে ওই ছবিটি তুলেছেন তা হয়ত জানেন না অনেকেই।

নিলুফার দেমির। তুর্কি এই ফটোসাংবাদিকের নাম বিশ্ব মিডিয়ায় খুব একটা পরিচিত নয়। তুরস্কের দোগান নিউজ এজেন্সিতে (ডিএইচএ) কাজ করা দেমির জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে এজিয়ান সাগর সংলগ্ন মুগলা প্রদেশ দিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে কাজ করছেন।

তুরস্কের মুগলা প্রদেশের বদরুম উপকূলের ৪ কিলোমিটার দূরেই গ্রিসের কোস দ্বীপ। এই অঞ্চল দিয়ে বেশ সহজেই নৌপথে গ্রিসে পৌঁছানো যায়। অভিবাসন প্রত্যাশীরা তাই বেশিরভাগ সময় ইউরোপে প্রবেশে এ পথটিই বেছে নেন।

দেমির জানান, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) যথারীতি ‘ইউরোপীয় শরণার্থী সঙ্কটের’ চিত্র ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়েছিলেন তিনি। গ্রিস উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টারত পাকিস্তানী শরণার্থীদের একটি দলের ছবি তোলার সময় সৈকতে এক শিশুর নিথর দেহ পড়ে থাকার খবর পান।

এরপর ৩ বছর বয়সী আয়লান কুর্দির ছবি তোলেন তিনি। আয়লানের লাশের ১০০ মিটার দূরেই পড়ে ছিল তার ভাই গালিপের (৫) লাশ। এ সময় ছবি তোলা ছাড়া মৃত ওই শিশুদের খবর জানানোর আর কোনো উপায় ছিল না বলে উল্লেখ করেন দেমির।

দেমির বলেন, ‘লাইফজ্যাকেট ছাড়া পানিতে ডুবে মরা শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে মর্মাহত হই। বিষয়টি আমাদের বেশ কষ্ট দেয়।’

তবে কর্মজীবনে এ ধরনের বহু মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেমির। তিনি জানান, ২০০৩ সাল থেকে বদরুম উপকূলে কাজ করছেন। এ দীর্ঘ সময়ে বহু শরণার্থীকে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে ও লাশ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শিশু আইলানের বিশ্ব কাঁপানো ছবিটি তুলেছেন যিনি

আপডেট টাইম : ১১:৫৮:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

শিশু আয়লানের নাম অনেকেরই জানা। সৈকতে ওই সিরীয় শিশুর লাশ পড়ে থাকার ছবি নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শরণার্থী নীতিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। তবে কে ওই ছবিটি তুলেছেন তা হয়ত জানেন না অনেকেই।

নিলুফার দেমির। তুর্কি এই ফটোসাংবাদিকের নাম বিশ্ব মিডিয়ায় খুব একটা পরিচিত নয়। তুরস্কের দোগান নিউজ এজেন্সিতে (ডিএইচএ) কাজ করা দেমির জানান, তিনি ১৫ বছর ধরে এজিয়ান সাগর সংলগ্ন মুগলা প্রদেশ দিয়ে অনুপ্রবেশ ইস্যু নিয়ে কাজ করছেন।

তুরস্কের মুগলা প্রদেশের বদরুম উপকূলের ৪ কিলোমিটার দূরেই গ্রিসের কোস দ্বীপ। এই অঞ্চল দিয়ে বেশ সহজেই নৌপথে গ্রিসে পৌঁছানো যায়। অভিবাসন প্রত্যাশীরা তাই বেশিরভাগ সময় ইউরোপে প্রবেশে এ পথটিই বেছে নেন।

দেমির জানান, গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) যথারীতি ‘ইউরোপীয় শরণার্থী সঙ্কটের’ চিত্র ক্যামেরাবন্দী করতে গিয়েছিলেন তিনি। গ্রিস উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টারত পাকিস্তানী শরণার্থীদের একটি দলের ছবি তোলার সময় সৈকতে এক শিশুর নিথর দেহ পড়ে থাকার খবর পান।

এরপর ৩ বছর বয়সী আয়লান কুর্দির ছবি তোলেন তিনি। আয়লানের লাশের ১০০ মিটার দূরেই পড়ে ছিল তার ভাই গালিপের (৫) লাশ। এ সময় ছবি তোলা ছাড়া মৃত ওই শিশুদের খবর জানানোর আর কোনো উপায় ছিল না বলে উল্লেখ করেন দেমির।

দেমির বলেন, ‘লাইফজ্যাকেট ছাড়া পানিতে ডুবে মরা শিশুর লাশ পড়ে থাকতে দেখে মর্মাহত হই। বিষয়টি আমাদের বেশ কষ্ট দেয়।’

তবে কর্মজীবনে এ ধরনের বহু মর্মান্তিক ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেমির। তিনি জানান, ২০০৩ সাল থেকে বদরুম উপকূলে কাজ করছেন। এ দীর্ঘ সময়ে বহু শরণার্থীকে অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করতে ও লাশ হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছেন তিনি।