হাওর বার্তা ডেস্কঃ কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নৃশিংভাজ তিস্তারপাড় গ্রামের মৃত আজিজার রহমানের ছেলে সাইফুল ও এনামুল। ৭ভাই বোনের মধ্যে সাইফুল ৫ম ও এনামুল সবার ছোট। সামান্য কিছু জমি ছাড়া ছিল না কোন সম্বল। দরিদ্রতা যেন লেগেই ছিল তাদের পিছে পিছে। ধান চাষে বারবার লোকসান গুনতে গুনতে হয়ে উঠে হয়রান।
পরে কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে প্রথমে এনামুল শুরু করে বিভিন্ন শাক ও সবজির চাষ। প্রথম বারেই দেখা মেলে সাফল্য এভাবেই একের পর এক সাফল্য আর লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন এনামুল। হয়ে উঠেন একজন সফল চাষি। সফল চাষি হিসেবে কয়েকবার পুরস্কারও পান উপজেলা কৃষি অফিস থেকে। পরে তার বড় ভাই সাইফুলও কৃষি অফিসের পরামর্শ ও ছোট ভাইয়ের সাফল্য দেখে নিজেও শুরু করেন শাক-সবজির চাষ।
দিনে দিনে তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করে। দরিদ্রতাকে জয় করে তারা এখন অর্থনৈতিক সচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তারা এখন প্রত্যেকেই হয়ে উঠেছে লাখোপতি। করেছে বাড়ি গাড়ি। তাদের সংস্যার নেই আর অভাব। তারা এখন হয়ে উঠেছে এলাকার সফল চাষি। এছাড়াও প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকারের উৎপাদিত শাক-সবজি বিক্রি করেও প্রচুর লাভবান হচ্ছেন।
তাদের এই সাফল্য দেখে ধীরে ধীরে উক্ত এলাকার বেশ কিছু কৃষকসহ আশপাশ এলাকার কৃষকগণও ঝুঁকে পড়েছে শাক-সবজি চাষে। সফল কৃষক হিসেবে পুরস্কারপ্রাপ্ত এনামুল জানায় এক সময় অভাব যেন তার সংস্যারের নিত্যসঙ্গী ছিল। থাকার উপযুক্ত ছিল না ঘরটিও। নিজেই কষ্ট করে ধান চাষ করলেও দেখতে হয়েছে লোকসানের জ্বালা।
কিন্তু এখন আর তাকে লোকশানের জ্বালাও জ্বলতে হয় না। শুনতে হয় না অভাবেই তাড়না। তিনি আরো জানান, শাক-সবজি চাষ করে লাভের টাকা দিয়ে ইতি মধ্যে বাড়ি, গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গরুও ক্রয় করেছে। সাইফুল ইসলাম বলেন ছোট ভাইয়ের সাফল্য দেখে তিনিও বেঁচে নেন শাক-সবজি চাষ। পেয়েও যান সাফল্য। শাক-সবজি চাষ করে ইতিমধ্যে ১ মেয়ের বিয়েও দিয়েছেন। উক্ত এলাকার দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্রী নৃপেন্দ্রনাথ সরকার বলেন এনামুল ও সাইফুল দুই ভাই সত্যি তারা সফল কৃষক। তারা পরিশ্রমী।
পরিশ্রম করেই তারা দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে সাফল্য অর্জন করা যায়। শাক-সবজি চাষ করে তারা এখন লাখোপতি হয়ে উঠেছে। আমরা তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতাসহ পরামর্শ দিয়েও আসছি। তাদের এই সাফল্য দেখে এলাকার দরিদ্র অন্য কৃষকরাও অনুপ্রাণিত হয়ে দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখতে পারবে।