হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকাই ছবির অন্যতম চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ। স্যাডি চরিত্রের নায়ক হিসেবে দর্শকের কাছে পরিচিত তিনি। অভিনয়ের পাশাপাশি একজন পরিচালকও তিনি। তার সমসাময়িক ব্যস্ততা ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের আলাপন বিভাগে কথা বলেছেন তিনি পোড়ামন টু’তে অভিনয় করছেন, কেমন লাগছে?
দারুণ একটি গল্পের ছবি।
গ্রামের পটভূমি নিয়ে নির্মিত হচ্ছে ছবিটি। এতে আমি একজন মানসিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ভূমিকায় অভিনয় করছি। মোট কথা ছবিটিতে অভিনয় করে ভালো লাগছে। নতুন ছবি বানাবেন বলেছিলেন…
হুম। কয়েক মাস আগে বলেছিলাম। ছবিটির গল্প ও স্ক্রিপ্ট রেডি আছে। তবে এখনই কোনো কিছু চূড়ান্ত নয়। সময় হলে সব জানাব। আপনার বাবা নায়করাজ রাজ্জাককে নিয়ে ছোটকু আহমেদ বই প্রকাশ করছেন। বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছেন। কারণ কী?
এটা নিয়ে আমার ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে বিস্তারিত বলেছি। আমার বাবার জীবনী নিয়ে নির্মাতা ছটকু আহমেদ বই প্রকাশ করবেন। আমরা তাকে লেখার অনুমতি দিইনি। এর পরও তিনি (ছটকু আহমেদ) কোথা থেকে অনুমতি নিয়ে বাবার জীবনী লিখছেন, আমি জানি না। বাবার জীবদ্দশায় তাকে নিয়ে যখন
অপমানজনক উক্তি চালাচালি হচ্ছিল, তখন তো তাদের কিছু বলতে শুনিনি; বরং তারা না শোনার ভান করে গেছেন। আজ তাদের উক্তি নিয়ে ছটকু আহমেদ নায়করাজের জীবনী লিখছেন। অথচ যে নায়করাজের পক্ষে কথা বলেছিলেন, সে গাজী জাহাঙ্গীরকে এখনও পরিচালক সমিতি নিষিদ্ধ করে রেখেছে।
আপনাদের পরিবার থেকে কি নায়করাজের জীবনী প্রকাশের পরিকল্পনা আছে?
এ ধরনের পরিকল্পনা আমাদের এখনও নেই। তবে বাবার সবকিছুই সংরক্ষণে রাখছি আমরা। বাবার নামে একটা আর্কাইভ করারও চিন্তা রয়েছে, যেখানে বাবাকে নিয়ে সব তথ্য পাওয়া যাবে। তবে জীবনী প্রকাশের কথাটি ভিন্ন। এটি নিয়ে ভাবিনি। যখন সময় হবে তখন ভাবব। চলচ্চিত্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আপনি কী বলবেন?
আমার আর কিছু বলার নেই। বাবা জীবিত থাকা অবস্থায়ই বলেছি। এখন আর কিছু বলতে চাই না। তবে খুব খারাপ লাগে যে সিনেমার টাকায় আমরা বড় হয়েছি, সে সিনেমার দুরবস্থা দেখে। জানি না এ দুরবস্থা কবে কাটিয়ে উঠবে আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গন। কিছু মানুষের মূর্খতার কারণেই চলচ্চিত্র শিল্প ধ্বংসের দিকে।