চলতি বছর অক্টোবরে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছিলেন সিনেমার বরেণ্য অভিনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানা। প্রাথমিকভাবে দলটির নাম রাখা হয় ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’ (বিআইপি)। আর দলের লোগোতে রাখা হয় শান্তির প্রতীক পায়রা। গেল ৩ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে মধ্যদিয়ে বর্ষীয়ান এই অভিনেতার সভাপতিত্বে দলটির ঘোষণা আসে।
তবে এরই মধ্যে ভক্তদের সতর্কবার্তা দিলেন অভিনেতা। জানালেন, তার নাম ব্যবহার করে একধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যেটির সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট নন। আজ বৃহস্পতিবার এক ফেসবুক পোস্টে একথা জানান বর্ষীয়ান এই অভিনেতা।
সোহেল রানার কথায়, ‘আমাকে প্রধান অতিথি করে একটি নতুন পার্টি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, এমনি ধরনের একটি দাওয়াত নেওয়া অনেকের কাছে পৌঁছেছে। আমি তাদের সবার জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই, এমন কোনো দাওয়াত আমি গ্রহণ করিনি অথবা উক্ত পার্টির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অনেকেই হয়তো ভুল বুঝতে পারেন, সে কারণে সবাইকে জানান দেওয়া।’
বলা দরকার, ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন সোহেল রানা। ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন এই অভিনেতা। এরপর ১৯৬৫ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আর ১৯৬৬ সালে ছাত্রলীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৮ সালে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
উল্লেখ্য, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন ঢাকাই সিনেমার এই অভিনেতা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকবাল হলের ভিপি হিসিবে নির্বাচিত হন সোহেল রানা। তবে ২০০৯ সালে এই অভিনেতা যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। তখন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যপদ গ্রহণ করেন তিনি। দলটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নির্বাচনী উপদেষ্টা হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালের অক্টোবরে জাতীয় পার্টি থেকে পদত্যাগ করেন এই চিত্রনায়ক। সবশেষ জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী গণআন্দোলন পক্ষ নেনে ছাত্র-জনতার।