ঢাকা ০২:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দেশবাসী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ২৮২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কাটতে না কাটতেই বেশ কিছুদিন ধরে আবারও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী।

দিন শেষ হতে না হতেই কানের কাছে মশার শোঁ শোঁ শব্দ, পড়ার টেবিলে বসার সাথে সাথেই মশার কামড়তো আছেই। মশারীর ফাঁক দিয়ে ঢুকে যাওয়া মশা মারতে গিয়েও আবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এসব কথা নগরবাসী সকলেরই জানা।

কথা হচ্ছে, এ বছরের মাঝামাঝি রাজধানীতে এডিস মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ায় বিপুলসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়। দেরিতে হলেও সরকারের টনক নড়ে। চিকুনগুনিয়া ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ চোখে পড়ে।

চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কাটতে না কাটতেই রাজধানীতে মশার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আবার আতঙ্কিত অনেক নগরবাসী।

চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ ঠেকাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউম্যাটোলজি বিভাগ চিকুনগুনিয়া-পরবর্তী চিকিৎসা দিতে গত ১৩ আগস্ট আথ্রাইটিস ক্লিনিক চালু করে।

এ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিনহাজ রহিম চৌধুরী বলেন, ‘শহরবাসী কিন্তু বিপদমুক্ত নয়। আবার মশা বাড়ছে। এখনই প্রতিরোধ না করা হলে পুনরায় বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। মশা থেকে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার পাশাপাশি মানুষ জিকা ভাইরাসেও আক্রান্ত হতে পারে।’

সিটি করপোরেশন ঠিকমতো ওষুধ ছিটায় না বলে অভিযোগ বহু পুরনো। অনেকের অভিযোগ, মাঝেমধ্যে প্রধান সড়কে বিকেলে ওষুধ ছিটানো হয়। কিন্তু গলিতে দেওয়া হয় না।

আবার কোনো কোনো এলাকার বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই ওষুধ ছিটানো হয় কিন্তু মশা তো যায় না। ছিটানো ওষুধে মশার কিছুই হয় না।

উত্তর শাহজাহানপুরের বাসিন্দা জয়নাল উদ্দিন বলেন, ‘কী স্প্রে করে, খালি শব্দই হয়। মশা মরে না। আগে তো অনেক ধোঁয়া হতো। এখন দেখি তা-ও কম।

জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান বলেন, নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ছিটানোর পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়।’

কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নালাগুলো অপরিষ্কার। আবার অনেক মানুষ সচেতন নন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকেও একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে একটি ক্রাশ কর্মসূচি চালানো হয়েছে, যেখানে একটি অঞ্চলে ডিএসসিসির সব লোকবল একসঙ্গে কাজ করেছে। প্রয়োজন হলে আরও বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ দেশবাসী

আপডেট টাইম : ০২:৪৯:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কাটতে না কাটতেই বেশ কিছুদিন ধরে আবারও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ নগরবাসী।

দিন শেষ হতে না হতেই কানের কাছে মশার শোঁ শোঁ শব্দ, পড়ার টেবিলে বসার সাথে সাথেই মশার কামড়তো আছেই। মশারীর ফাঁক দিয়ে ঢুকে যাওয়া মশা মারতে গিয়েও আবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এসব কথা নগরবাসী সকলেরই জানা।

কথা হচ্ছে, এ বছরের মাঝামাঝি রাজধানীতে এডিস মশাবাহিত রোগ চিকুনগুনিয়ায় বিপুলসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়। দেরিতে হলেও সরকারের টনক নড়ে। চিকুনগুনিয়া ঠেকাতে সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগ চোখে পড়ে।

চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কাটতে না কাটতেই রাজধানীতে মশার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় আবার আতঙ্কিত অনেক নগরবাসী।

চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ ঠেকাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউম্যাটোলজি বিভাগ চিকুনগুনিয়া-পরবর্তী চিকিৎসা দিতে গত ১৩ আগস্ট আথ্রাইটিস ক্লিনিক চালু করে।

এ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিনহাজ রহিম চৌধুরী বলেন, ‘শহরবাসী কিন্তু বিপদমুক্ত নয়। আবার মশা বাড়ছে। এখনই প্রতিরোধ না করা হলে পুনরায় বড় ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা হতে পারে। মশা থেকে ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার পাশাপাশি মানুষ জিকা ভাইরাসেও আক্রান্ত হতে পারে।’

সিটি করপোরেশন ঠিকমতো ওষুধ ছিটায় না বলে অভিযোগ বহু পুরনো। অনেকের অভিযোগ, মাঝেমধ্যে প্রধান সড়কে বিকেলে ওষুধ ছিটানো হয়। কিন্তু গলিতে দেওয়া হয় না।

আবার কোনো কোনো এলাকার বাসিন্দা জানিয়েছেন, প্রতিদিনই ওষুধ ছিটানো হয় কিন্তু মশা তো যায় না। ছিটানো ওষুধে মশার কিছুই হয় না।

উত্তর শাহজাহানপুরের বাসিন্দা জয়নাল উদ্দিন বলেন, ‘কী স্প্রে করে, খালি শব্দই হয়। মশা মরে না। আগে তো অনেক ধোঁয়া হতো। এখন দেখি তা-ও কম।

জানতে চাইলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান বলেন, নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি মশা নিয়ন্ত্রণে গত অক্টোবর ও নভেম্বরে বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এতে মশা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ছিটানোর পরিমাণ দ্বিগুণ করা হয়।’

কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, নালাগুলো অপরিষ্কার। আবার অনেক মানুষ সচেতন নন। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকেও একটি কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মীর মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে ইতিমধ্যে একটি ক্রাশ কর্মসূচি চালানো হয়েছে, যেখানে একটি অঞ্চলে ডিএসসিসির সব লোকবল একসঙ্গে কাজ করেছে। প্রয়োজন হলে আরও বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।