হবিগঞ্জে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করা রুহুল আমিন থানায় আত্মসমপর্ণ করেছে। শুক্রবার সকালে সে আত্মসমপর্ণ করে।
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় হবিগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র রুহুল আমিন ওই ছাত্রীকে রাস্তায় প্রকাশ্যে মারধর করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মারের ভিডিওটি প্রকাশিত হলে তোলপাড় শুরু হয়। রুহুল আমিনকে আটক করতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।
নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ি, রুহুল আমিন ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাব প্রত্যাখান করে ওই ছাত্রীটি। এতে সাড়া না পেয়ে বখাটে রাহুল বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীটিকে উত্যক্ত করতো। এ খবর জানতে পেরে কিছুদিন আগে ছাত্রীটির এক আত্মীয় রাহুলকে চড় থাপ্পড় দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬ আগস্ট স্কুল ছুটি শেষে বাসায় যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীটিকে এলোপাথারি চড়-থাপ্পড় মারে বখাটে রাহুল। এ সময় রাহুল বলতে থাকে ছাত্রীটির যে স্বজন তাকে চড়-থাপ্পড় মেরেছে তার হাত-পা কেটে ছাত্রীটির কাছে পাঠাবে।
৩১ সেকেন্ডের এ ভিডিওচিত্র গত ১ সেপ্টেম্বর রানা আহমেদ নামের একজন ও এরপর দিন আমাদের হবিগঞ্জ নামের আরো একটি ফেসবুক পেইজ থেকে শেয়ার করা হয়। এর পর থেকেই একের পর এক শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এদিকে এ ঘটনার এলাকাজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। রুহুল আমিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নির্যাতিত ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠি, শিক্ষক, অভিভাবক ও সাধারণ মনুষ। প্রতিবাদে রবিবার সকালে মানববন্ধনের করবে হবিগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।