হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক মান্না। তার আসল নাম এস এম আসলাম তালুকদার। ১৯৮৪ সালে তিনি নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আসেন।
শুরুতেই একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা না পেলেও বেশ কয়েক বছর পর ‘কাশেম মালার প্রেম’-এ চম্পার বিপরীতে একক নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়ে পান। এর আগে সব ছবিতে মান্না ২য় নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন ।
চলচ্চিত্র জীবনে তিনি ২০০ এর অধিক সিনেমায় অভিনয় করেন। নব্বই দশকে অশ্লীল ছবির শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করলেও পরবর্তীতে এর বিরুদ্ধে লড়াই করেন। তার অভিনীত আম্মাজান চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম।
মান্না শুধু চলচ্চিত্র অভিনেতাই ছিলেন না, তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে যতগুলো ছবি প্রযোজনা করেছেন, প্রতিটি ছবি ব্যবসাসফল হয়েছিল।
১৯৬৪ সালের ৬ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মান্না মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
মান্না অভিনীত কিছু ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় ছবি।
দাঙ্গা (১৯৯১) : কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দাঙ্গা’ ছবিতে একজন মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেন। অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে বেশ মানিয়ে যান। এমনকি বয়সে বড় সুচরিতার সাথেও মানিয়ে যান। ছবিটি আর্ন্তজাতিক ভাবে পুরস্কার পাওয়ার পাশাপাশি জাতীয় পুরস্কারও লাভ করে।
লুটতরাজ (১৯৯৭) : মান্না প্রযোজিত প্রথম সিনেমা ‘লুটতরাজ’ পরিচালনা করেন কাজী হায়াৎ। উনি প্রথমবারের মতো ঐ সময়ের জনপ্রিয় দুই নায়িকা দিতি, মৌসুমীকে একসাথে অভিনয় করান। গান জনপ্রিয় হওয়া ছাড়াও ছবিটি ব্যবসাসফল হয়।
আম্মাজান (১৯৯৯) : মান্নার জীবনের সেরা ছবি কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’। ছবিটিতে তিনি একজন মাতৃভক্ত ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিটি দারুন ব্যবসাসফল হয়।আইয়ুব বাচ্চুর কণ্ঠে ‘আম্মাজান’ গানটি এখনো জনপ্রিয়। উনার অভিনয় দর্শকদের মন ছুঁয়ে যায়। ছবিটি সেরা চিত্রনাট্যকারের জাতীয় পুরস্কার পায়।
উত্তরের খেপ (২০০০) : শাহজাহান চৌধুরী পরিচালিত ‘উত্তরের খেপ’ চলচ্চিত্রে একজন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটিতে উনার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। চম্পা জাতীয় পুরস্কার পেলেও মান্না পুরস্কৃত হন না।
বীর সৈনিক (২০০৩) : দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘বীর সৈনিক’ চলচ্চিত্রে দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা বাবা, অন্যজন হতাশগ্রস্ত বেকার সন্ত্রাসীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন মান্না।