আমনের বাম্পার ফলন হওয়ার কৃষকের মুখে হাসি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভোলার মনপুরায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধানের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মাঝে খুশির আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। ধান পাকতে এখনো সময় লাগবে।

সোনালি ধানের ক্ষেতে কৃষকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আবহাওয়া ভালো থাকলে তারা ঘরে ভালেভাবে ধান তুলতে পারবেন। নবান্নের উৎসব কৃষকের ঘরে ঘরে কৃষাণীর মনে হাওয়া লাগছে। নতুন ধান ঘরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পিঠা পায়েসে মেতে উঠবেন কৃষাণীরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ১২৩০০ হেক্টর জমিতে (৩০ হাজার ৩৮১ একর) জমিতে কৃষকেরা ধান চাষ করেন। ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ২৫ হাজার ৭০৪ মেট্রিক টন। ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবেন বলে ধারণা করছেন কৃষি অফিস।

জানা যায়, মোট ১২৩০০ হেক্টর জমির মধ্যে ২৫০০ হেক্টর (৬১৭৫ একর) জমিতে রাজাসাইল/লেম্বু, ২২৫০ হেক্টর (৫৫৫৭ একর) জমিতে কাজলসাইল, ২০০ হেক্টর (৪৯৪ একর) জমিতে ঘিকচ, ২৫০ হেক্টর (৬১৮ একর) জমিতে মোটাধান, ৫০ হেক্টর (১২৪ একর) জমিতে সুগন্ধী ধান এবং ৭ হাজার ৫০ হেক্টর (১৭৪১৩ একর) জমিতে উপসী ব্রিধান ৫২, ৫৪, ৪৪, ৪০, ২২ ও ২৩ ধান চাষ করেন কৃষকেরা।

ধান চাষ করে এবার লাভবান কৃষকেরা। ধানের দাম গড়ে ৬৫০ টাকা থেকে ৭শ’ টাকা। যা কৃষকের খরচ পুষিয়ে প্রতি শতাংশে এক হাজার টাকা লাভ থাকবে।

উপজেলার চরযতিন গ্রামের আলাউদ্দিন ও মহিমা বেগমের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, প্রতি ৮ শতাংশ জমি চাষ করতে তাদের খরচ হয়েছে চাষ খরচ ২শ’ টাকা রোপণের জন্য শ্রমিক খরচ ৫শ’ টাকা, বীজ ধান বাবদ ২শ’ টাকা, সার ও ওষুধ বাবদ খরচ হয়েছে ১২শ’ টাকা ও ধান কাটার সময় খরচ হবে শ্রমিক খরচ ৫শ’ টাকা। মোট ৮ শতাংশ জমি চাষ করতে খরচ হয়েছে এক হাজার ৭শ’ টাকা।

প্রতি ৮ শতাংশ জমিতে ধান উৎপাদন হবে গড়ে চার মণ। প্রতিমণ ধান গড়ে ৬৮০ টাকা ধরে বিক্রি করলে মোট টাকা হবে দুই হাজার ৭শ’ বিশ টাকা। খরচ বাদে প্রতি ৮ শতাংশে লাভ হবে এক হাজার ২০ টাকা। এ বছরই কৃষকেরা একটু লাভের মুখ দেখতে পাবেন।

এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাবু গোপীনাথ দাস বলেন, ধানের বাম্পার পলন হয়েছে। কৃষকেরা লাভের মুখ দেখবেন।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর