ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ২৪৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ের মাল্টা এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার চাষিরা। একই সাথে কৃষি বিভাগ বলছে, এখানকার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষে উপযোগী বলেই চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র মতে, হরিপুর, পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও সদর উপজেলার প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে ও প্রায় ৩ হেক্টর জমির বসতবাড়িতে মাল্টা, কমলা, বাদামি ও কলম্ব চাষ হয়েছে। এর বেশির ভাগই মাল্টা ও কমলা। কয়েক বছর ধরে এ জেলায় চাষ হচ্ছে মাল্টা। তবে এ বছর মাল্টার আকার ও ফলন আগের তুলনায় অনেক ভালো। মাল্টা চাষ করে কৃষকেরা অল্প সময়ে লাভবান হচ্ছেন। মাল্টা চাষে এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী বলেই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষককে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ৫০টি, আর কিছু কিছু গাছে শতাধিক মাল্টা ধরেছে, যা আগের বছরগুলোর চেয়ে তুলনামূলক বেশি। আর এতে এ বছর লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালডাঙ্গী গ্রামের বেলাল হোসেন মাস্টার মাল্টা চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। তার চাষকৃত মাল্টা এখন বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হচ্ছে। তিনি পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি কৃষিকাজও করেন।

বেলাল হোসেন জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জামান তার বাড়িতে এসে মাল্টা চাষের প্রস্তাব দেন। তিনি ২০১৫ সালের জুন মাসে বাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত ৫০ শতক জমিতে সরকারি অর্থায়নে মাল্টার চারা রোপণ করেন। জুন মাসেই সেখানে বারি-১ জাতের ৫৬টি মাল্টা, ৫টি কমলা লেবু, ২০টি কলম্ব লেবু, ১০টি বাতাবি লেবুসহ সর্বমোট ১০০টি চারা রোপণ করেন। তিনি এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন সব সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। এ বছর মাল্টার বাগানে প্রতিটি গাছে ৭০টি থেকে ৮০টি করে ফল ধরেছে। ভালো মানের মাল্টা বাইরে বিক্রির জন্য গাছেই ব্যাগিং পদ্ধতিতে মাল্টা সংরক্ষণ করা হয়েছে। গাছের প্রতিটি মাল্টার ওজন ৩ শ’ গ্রাম থেকে ৪ শ’ গ্রাম। এ পর্যন্ত বাগানে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ থেকে আশা করছেন দ্বিগুণ লাভ হবে।

অন্য দিকে জেলার বেশ কিছু কৃষকের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, মাল্টা চাষ করে তারাও সফলতা পেয়েছেন। আগামীতে মাল্টা চাষ আরো বাড়বে।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক এ কে এম মাউদুদুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার মাটি অম্লীয় বেলে-দোআঁশ। মাল্টা ও কমলা চাষের জন্য এ মাটি উপযোগী। মাল্টা চাষে কৃষককে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন চাষিরা

আপডেট টাইম : ১১:১৯:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁওয়ের মাল্টা এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এখানকার চাষিরা। একই সাথে কৃষি বিভাগ বলছে, এখানকার মাটি ও আবহাওয়া মাল্টা চাষে উপযোগী বলেই চাষিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র মতে, হরিপুর, পীরগঞ্জ, রানীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও সদর উপজেলার প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে ও প্রায় ৩ হেক্টর জমির বসতবাড়িতে মাল্টা, কমলা, বাদামি ও কলম্ব চাষ হয়েছে। এর বেশির ভাগই মাল্টা ও কমলা। কয়েক বছর ধরে এ জেলায় চাষ হচ্ছে মাল্টা। তবে এ বছর মাল্টার আকার ও ফলন আগের তুলনায় অনেক ভালো। মাল্টা চাষ করে কৃষকেরা অল্প সময়ে লাভবান হচ্ছেন। মাল্টা চাষে এ জেলার মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী বলেই কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষককে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ৫০টি, আর কিছু কিছু গাছে শতাধিক মাল্টা ধরেছে, যা আগের বছরগুলোর চেয়ে তুলনামূলক বেশি। আর এতে এ বছর লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, হরিপুর উপজেলার ভাতুরিয়া ইউনিয়নের কাঁঠালডাঙ্গী গ্রামের বেলাল হোসেন মাস্টার মাল্টা চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। তার চাষকৃত মাল্টা এখন বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হচ্ছে। তিনি পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি কৃষিকাজও করেন।

বেলাল হোসেন জানান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামসুজ্জামান তার বাড়িতে এসে মাল্টা চাষের প্রস্তাব দেন। তিনি ২০১৫ সালের জুন মাসে বাড়ির পেছনে পরিত্যক্ত ৫০ শতক জমিতে সরকারি অর্থায়নে মাল্টার চারা রোপণ করেন। জুন মাসেই সেখানে বারি-১ জাতের ৫৬টি মাল্টা, ৫টি কমলা লেবু, ২০টি কলম্ব লেবু, ১০টি বাতাবি লেবুসহ সর্বমোট ১০০টি চারা রোপণ করেন। তিনি এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন সব সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। এ বছর মাল্টার বাগানে প্রতিটি গাছে ৭০টি থেকে ৮০টি করে ফল ধরেছে। ভালো মানের মাল্টা বাইরে বিক্রির জন্য গাছেই ব্যাগিং পদ্ধতিতে মাল্টা সংরক্ষণ করা হয়েছে। গাছের প্রতিটি মাল্টার ওজন ৩ শ’ গ্রাম থেকে ৪ শ’ গ্রাম। এ পর্যন্ত বাগানে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। এ থেকে আশা করছেন দ্বিগুণ লাভ হবে।

অন্য দিকে জেলার বেশ কিছু কৃষকের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, মাল্টা চাষ করে তারাও সফলতা পেয়েছেন। আগামীতে মাল্টা চাষ আরো বাড়বে।

এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক এ কে এম মাউদুদুল ইসলাম জানান, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার মাটি অম্লীয় বেলে-দোআঁশ। মাল্টা ও কমলা চাষের জন্য এ মাটি উপযোগী। মাল্টা চাষে কৃষককে সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।