ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শীতের সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে এবং বাজারে সবজির বাজার চড়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩০৮ বার

বাস্তবে অন্যায্যভাবে কৃষকেরা ঠকছেন, ঠকছেন ভোক্তারাও। সংক্ষেপে এর মুখ্য কারণ হলো আইনের শাসনে দুর্বলতা এবং বাজার ব্যবস্থাপনার ঘাটতি যথেষ্ট প্রসারিত হওয়া। গণপরিবহন ও গুদামজাতকরণের সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হরেক রকমের চাঁদাবাজি। বেশি হাতবদল এবং পথে পথে ‘তোলা’ আদায়ের কারণেই ভোক্তাকে মাশুল দিতে হচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে কাজের কাজ হয়তো হবে সামান্যই, কিংবা কিছুই নয়। শুধু কথার ফুলঝুরিই সার। কৃষিনির্ভর অর্থনীতির দেশের মেরুদণ্ড কৃষি। কিন্তু সেই কৃষককে সচ্ছল করতে রাষ্ট্র কখনোই কার্যকর ও ধারাবাহিক তদারকির পদক্ষেপ নেয়নি। বিগত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কৃষকদের দুরবস্থা দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগকে (সিপিডি) দিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল, তখন দেখা হয়েছিল যে কৃষকদের গোলা থেকে কত হাত ঘুরে একটি পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছায়। সমীক্ষায় এটা ফুটে ওঠে যে যত হাতবদল কম হবে, ততই কৃষকদের লাভ ও ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব। বেসরকারি খাতের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলো সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে বাজারমূল্যে বেচেও ভালো মুনাফা করছে।

আমরা মনে করি, সরকারকেই একটি স্থায়ী ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশ সমবায় পদ্ধতি অনুসরণ করে একটা সমাধান বের করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রের তরফে কোনো কার্যকর উদ্যোগ বা এ বিষয়ে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথাও জানা যাচ্ছে না। বিআইডিএসের মতো সংস্থাগুলো একটি উপযুক্ত পদ্ধতির সন্ধানে গবেষণা করতে পারে।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সবজি সংরক্ষণাগার তৈরি, পরিবহন সংকট লাঘব করা, কৃষকদের নিয়ে সমবায় সমিতি গঠনকে উৎসাহিত করা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ কমানো এবং চাঁদাবাজির কবল থেকে মুক্তি দিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দুর্নীতিমুক্ত করার মতো দিকগুলোতে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

শীতের সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে এবং বাজারে সবজির বাজার চড়া

আপডেট টাইম : ১১:৪৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর ২০১৭

বাস্তবে অন্যায্যভাবে কৃষকেরা ঠকছেন, ঠকছেন ভোক্তারাও। সংক্ষেপে এর মুখ্য কারণ হলো আইনের শাসনে দুর্বলতা এবং বাজার ব্যবস্থাপনার ঘাটতি যথেষ্ট প্রসারিত হওয়া। গণপরিবহন ও গুদামজাতকরণের সংকটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হরেক রকমের চাঁদাবাজি। বেশি হাতবদল এবং পথে পথে ‘তোলা’ আদায়ের কারণেই ভোক্তাকে মাশুল দিতে হচ্ছে।

প্রকৃতপক্ষে কাজের কাজ হয়তো হবে সামান্যই, কিংবা কিছুই নয়। শুধু কথার ফুলঝুরিই সার। কৃষিনির্ভর অর্থনীতির দেশের মেরুদণ্ড কৃষি। কিন্তু সেই কৃষককে সচ্ছল করতে রাষ্ট্র কখনোই কার্যকর ও ধারাবাহিক তদারকির পদক্ষেপ নেয়নি। বিগত সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কৃষকদের দুরবস্থা দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগকে (সিপিডি) দিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল, তখন দেখা হয়েছিল যে কৃষকদের গোলা থেকে কত হাত ঘুরে একটি পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছায়। সমীক্ষায় এটা ফুটে ওঠে যে যত হাতবদল কম হবে, ততই কৃষকদের লাভ ও ভোক্তার স্বার্থ রক্ষা করা সম্ভব। বেসরকারি খাতের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলো সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কিনে বাজারমূল্যে বেচেও ভালো মুনাফা করছে।

আমরা মনে করি, সরকারকেই একটি স্থায়ী ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশ সমবায় পদ্ধতি অনুসরণ করে একটা সমাধান বের করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রের তরফে কোনো কার্যকর উদ্যোগ বা এ বিষয়ে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার কথাও জানা যাচ্ছে না। বিআইডিএসের মতো সংস্থাগুলো একটি উপযুক্ত পদ্ধতির সন্ধানে গবেষণা করতে পারে।

ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সবজি সংরক্ষণাগার তৈরি, পরিবহন সংকট লাঘব করা, কৃষকদের নিয়ে সমবায় সমিতি গঠনকে উৎসাহিত করা, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ কমানো এবং চাঁদাবাজির কবল থেকে মুক্তি দিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের দুর্নীতিমুক্ত করার মতো দিকগুলোতে মনোযোগ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।