হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘ঢাকা অ্যাটাক’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে যেন আরো এক ধাপ এগিয়ে নিল। সেই সাথে ফিরে এনেছে হল বিমুখ দর্শকদের। দিয়েছে সুস্থ ধারার বিনোদন। বক্স অফিসেও পেয়েছেন সফলতা। সবমিলিয়ে চলচ্চিত্র জগতে এক অনন্য ছবি ‘ঢাকা অ্যাটাক’। এতো কিছুর পরও ছবির লাভের মুখ দেখতে অপেক্ষা করতে হয়েছে কয়েক সপ্তাহ।
অনেকেই ভাবছেন- প্রথম সপ্তাহেই তো সফল ‘ঢাকা অ্যাটাক’। কিন্তু যারা সিনেমা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারাই জানেন, একটা সিনেমা হিট হওয়া কতটা কঠিন। দিনের পর দিন হাউসফুল গেলেও ‘ঢাকা অ্যাটাক’কে লগ্নি ফিরে পেতে কয়েক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়েছে।
বর্তমানে সারাদেশের দশটির মতো হলে চলছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’। এর আগে দেশের সোয়া একশ হলের পাশাপাশি প্রদর্শিত হয়েছে বিদেশেও। আর দেশের বাইরে ‘ঢাকা অ্যাটাক’র সফলতাও চমকপ্রদ।
পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান দি অভি কথাচিত্র সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ৮ম সপ্তাহে লাভের মুখ দেখেছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’। এতে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে ওভারসিজ ইনকাম।
ছবিটির বাজেট দেড়-দুই কোটির মধ্যে। আর দেশে আয় করেছে ২ কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে ৬০-৭০ লাখ এসেছে ঢাকার দুই মাল্টিপ্লেক্স স্টার সিনেপ্লেক্স ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস থেকে। এর সাথে যোগ হয়েছে বিদেশের ৩৫ লাখ টাকার মতো আয়। এর সাথে যোগ হবে স্পন্সর ও টিভি স্বত্ত্ব। সব মিলিয়েই লাভজনক ভেঞ্চারে পরিণত হয়েছে ছবিটি। এছাড়া শিগগির মালয়েশিয়ায় মুক্তি পাবে ‘ঢাকা অ্যাটাক’। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেও বড়সড় চমক দেখাবে।
সিনেমার বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মূলত টিকিটে প্রযোজকের নায্য হিস্যা নিশ্চিত না হওয়া, প্রজেক্টর খরচ, বুকিং এজেন্ট ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে কোনো কোনো ভালো ছবি কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের দেখা পায় না। আর সাফল্য এলেও বেশ ধৈর্য ধরতে হয়।
‘ঢাকা অ্যাটাক’ পরিচালনা করেছেন দীপঙ্কর দীপন। আর প্রধান দুই চরিত্রে আছেন আরিফিন শুভ ও মাহি।