ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষকরা আলুর ক্ষেতে পরিচর্যায় করার ব্যস্ত

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৫৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগাম আলুর ক্ষেতে পানি দেয়া, কীটনাশক প্রয়োগ, নিড়ানি দেয়াসহ আলু ক্ষেত পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর অল্প কিছু দিনের মধ্যে আগাম আলু উত্তোলন করতে পারবেন এ উপজেলার কৃষকরা। আগাম লাগানো আমন ধান কাটার পর এখানকার অনেক কৃষক জমি আর পতিত রাখে না।

এছাড়া বছরের পর বছর যে জমিগুলো পড়ে থাকত গত কয়েক বছর ধরে সে জমিগুলোতে মীরসরাই উপজেলার কৃষকদের আগাম জাতের আলু চাষ করার আগ্রহ বাড়ছে দিন দিনে। ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উৎপাদিত গেনোলা জাতের আগাম আলু চাষ করে থাকেন এখানকার কৃষকরা। এ উপজেলার মাঠে মাঠে এখন আগাম আলুর বেড়ে ওঠা লকলকে গাছ শোভা পাচ্ছে। বিশেষ করে ললিতা আলু, লাল আলু, গোল আলু বেশ করে চাষ হচ্ছে উপজেলার ওয়াহেদপুর, ইছাখালী, খৈয়াছরা, জোরারগঞ্জ, দুর্গাপুর ও করেরহাট এলাকায়।

উপজেলার করেরহাট গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন জানান, আগাম জাতের আলু চাষে বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ হয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। বাজারে বিক্রি করতে পারলে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা সম্ভব হবে। এতে খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমিতে লাভ হবে অন্তত ৫০ হাজার টাকা বলে জানান। জোরারগঞ্জ এলাকার কৃষক মকবুল হোসেন জানান, গত বছর ১২ কড়া জমিতে আলুর চাষে খরচ সেরে ১৪ হাজার টাকা লাভ হয়। এবার ও আশা করছেন তার চেয়ে বেশী লাভ হতে পারে। আবার বাজারে আগাম আলুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিক্রি করতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।

মিরসরাই উপজেলার কৃষি সুপারভাইজার নুরুল আলম জানান, এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলুর চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে এসব ক্ষেতে কৃষকরা পরিচর্যা করছে তাদের ক্ষেত। আলুর পাশাপাশি অনেকে একই ক্ষেতে মরিচ, সরিষা ইত্যাদি নিয়ে ও ব্যস্ত। মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান কেউ কেউ আগাম আলু তোলার পর একই জমিতে আবার অন্যান্য ফসল আবাদ করে থাকেন তারা।

বছরে একই জমিতে তিন থেকে চারটি ফসল চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। আগাম আলু চাষে সেচ কম লাগে এবং স্বল্প সময়ে ভালো ফসল পাওয়ায় এ আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এখানকার উৎপাদিত আগাম আলু সহ বিভিন্ন ফলনে দিনে আগ্রহ বাড়ছে দেখে আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করছি বলে জানান তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

কৃষকরা আলুর ক্ষেতে পরিচর্যায় করার ব্যস্ত

আপডেট টাইম : ১১:২৮:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগাম আলুর ক্ষেতে পানি দেয়া, কীটনাশক প্রয়োগ, নিড়ানি দেয়াসহ আলু ক্ষেত পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আর অল্প কিছু দিনের মধ্যে আগাম আলু উত্তোলন করতে পারবেন এ উপজেলার কৃষকরা। আগাম লাগানো আমন ধান কাটার পর এখানকার অনেক কৃষক জমি আর পতিত রাখে না।

এছাড়া বছরের পর বছর যে জমিগুলো পড়ে থাকত গত কয়েক বছর ধরে সে জমিগুলোতে মীরসরাই উপজেলার কৃষকদের আগাম জাতের আলু চাষ করার আগ্রহ বাড়ছে দিন দিনে। ৫৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে উৎপাদিত গেনোলা জাতের আগাম আলু চাষ করে থাকেন এখানকার কৃষকরা। এ উপজেলার মাঠে মাঠে এখন আগাম আলুর বেড়ে ওঠা লকলকে গাছ শোভা পাচ্ছে। বিশেষ করে ললিতা আলু, লাল আলু, গোল আলু বেশ করে চাষ হচ্ছে উপজেলার ওয়াহেদপুর, ইছাখালী, খৈয়াছরা, জোরারগঞ্জ, দুর্গাপুর ও করেরহাট এলাকায়।

উপজেলার করেরহাট গ্রামের কৃষক সাখাওয়াত হোসেন জানান, আগাম জাতের আলু চাষে বিঘা প্রতি উৎপাদন খরচ হয় প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। বাজারে বিক্রি করতে পারলে অন্তত ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা সম্ভব হবে। এতে খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমিতে লাভ হবে অন্তত ৫০ হাজার টাকা বলে জানান। জোরারগঞ্জ এলাকার কৃষক মকবুল হোসেন জানান, গত বছর ১২ কড়া জমিতে আলুর চাষে খরচ সেরে ১৪ হাজার টাকা লাভ হয়। এবার ও আশা করছেন তার চেয়ে বেশী লাভ হতে পারে। আবার বাজারে আগাম আলুর ব্যাপক চাহিদা থাকায় বিক্রি করতে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয় না।

মিরসরাই উপজেলার কৃষি সুপারভাইজার নুরুল আলম জানান, এ উপজেলায় এখন পর্যন্ত প্রায় শতাধিক হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলুর চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে এসব ক্ষেতে কৃষকরা পরিচর্যা করছে তাদের ক্ষেত। আলুর পাশাপাশি অনেকে একই ক্ষেতে মরিচ, সরিষা ইত্যাদি নিয়ে ও ব্যস্ত। মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসার বুলবুল আহমেদ জানান কেউ কেউ আগাম আলু তোলার পর একই জমিতে আবার অন্যান্য ফসল আবাদ করে থাকেন তারা।

বছরে একই জমিতে তিন থেকে চারটি ফসল চাষ করে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। আগাম আলু চাষে সেচ কম লাগে এবং স্বল্প সময়ে ভালো ফসল পাওয়ায় এ আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। এখানকার উৎপাদিত আগাম আলু সহ বিভিন্ন ফলনে দিনে আগ্রহ বাড়ছে দেখে আমরা স্বাচ্ছন্দ বোধ করছি বলে জানান তিনি।