হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র ভয়াবহ। তাই নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকারকে জিরো টলারেন্সে নীতি গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শনিবার আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তরা এ কথা বলেন।বিশেষায়িত শ্রম প্রতিষ্ঠান ওশি ফাউন্ডেশন এ মানববন্ধন ও সমাবেশের আয়োজন করে। এতে বিভিন্ন নারী শ্রমিক নেতা, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরসহ ঢাকা, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার হোমবেইজড নারী শ্রমিকরা অংশ নেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকি রিজওয়ানা।
এ ছাড়া লেবার অ্যাট ইনফরমাল ইকোনমির (এলআইই) ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর ফরিদা খানম, ওশি ফাউন্ডেশনের হোমবেইজড প্রজেক্ট ম্যানেজার আরিফা আস আলম, বেসরকারি সংস্থা কাপ এবং গ্রাসরুটসের প্রতিনিধিরা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।
সাকি রিজওয়ানা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৫ম অংশে লিঙ্গসমতা এবং নারীর প্রতি সবধরনের সহিংসতা দূর করার কথা বলা হয়েছে। তাই এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, ট্রেড ইউনিয়ন, গবেষক ও নাগরিক সমাজের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।
ফরিদা খানম বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী এদেশে বিবাহিত নারীদের মধ্যে ৭২ শতাংশই জীবনে অন্তত একবার সহিংসতার মুখোমুখি হয়েছেন। এ পরিসংখ্যানই বলে দেয় দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র কতটা ব্যাপক ও ভয়াবহ। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে জিরো টলারেন্সে নীতি গ্রহণ করতে হবে।
সমাবেশে নারী শ্রমিকরা নিম্ন মজুরি, কর্মক্ষেত্রে তাদের প্রতি সহিংস আচরণ এবং অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ পরিবেশের কথা বলেন। এ বিষয়ে তারা সরকারি নীতি সহায়তা ও বিশেষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি প্রণয়নের দাবি জানান।