বিষমুক্ত বেগুন চাষ করে লাভবান কৃষকেরা

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহায়তায় বিষমুক্ত বেগুন চাষে সাফল্য পেয়েছেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কৃষকেরা। কীটনাশকের বদলে জৈব বালাইনাশক ও সেক্স ফেরোমন ফাঁদের ব্যবহার, উপকারী পোকা-মাকড় সংরক্ষণ এবং পরিচ্ছন্ন চাষাবাদ পদ্ধতিতে আবাদ করছেন তারা। বেগুনসহ বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে মাঠ দিবস ও বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিবেশবান্ধব সবজি উৎপাদনে আইপিএম লাগসই প্রযুক্তি। এতে ক্ষতিকর পোকা-মাকড় দমন ও সবজির গুণগত মান নিশ্চিত হয়। বেগুনের পোকা দমনে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ এখন বাজারে সহজলভ্য ও কার্যকরী। প্রতি ১০ বর্গমিটার জমির জন্য একটি ফাঁদ চারা লাগানোর ৪-৫ সপ্তাহ পর গাছের উচ্চতার ওপর খুঁটি দিয়ে স্থাপন করতে হবে। ৬-৭ দিন পর পর নিয়মিত সাবান পানি ও ৫০-৬০ দিন পর ফাঁদের উচ্চতা বদলাতে হবে।

উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকার সফল কৃষক হাওর বার্তাকে বলেন, ‘জমিতে কীটনাশক ছাড়াই বেগুনের চাষ করে বিষমুক্ত সবজি খাচ্ছি ও বাজারে বিক্রি করছি। নিমপাতা, ছাই আর সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করি। এতে আগের তুলনায় ফলনও ভালো’।

শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘কীটনাশকের পরিবর্তে সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে ভালো উপকার পেয়েছি’।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘দেশে উৎপাদিত সবজির চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই, রফতানি হচ্ছে দেশের বাইরেও। পাশাপাশি বাড়ছে নানা ধরনের ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের আক্রমণ। চাষিরা এসব পোকা দমনে বেগুনের ক্ষেতে অতিমাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীল। এতে তারা আর্থিক ও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন’।

‘আইপিএম পদ্ধতিতে বিষ ব্যবহার না করেও বেগুন উৎপাদনে মাঠ দিবসের মাধ্যমে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি’।

কীটনাশকে বেগুন চাষকারী চুনিয়াপাড়া এলাকার কৃষক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বেগুন ক্ষেতে পাখির উপদ্রব ঠেকাতে জাল দিয়েছি। আর পোকা থেকে বাঁচতে সপ্তাহে ১-২ বার কীটনাশক দিচ্ছি। চারদিন

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর