হাওর বার্তা ডেস্কঃ ম্যাচ শুরুর আগেই চমক ! লিওনেল মেসি নেই বার্সেলোনার প্রথম একাদশে। নাহ্, চোটটোট কিছু নয়, ম্যাচের গুরুত্বটাই বার্সার কাছে এমন ছিল—মেসির একটু বিশ্রাম নিলেও চলে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মেসি মাঠে নেমেছেন ঠিকই, কিন্তু জুভেন্টাসের রক্ষণ ভাঙতে পারেননি। জুভেন্টাসও নিজেদের মাঠে পুরোটা সময় চেষ্টা করে পারেনি বার্সার রক্ষণ ভেদ করতে। শেষ পর্যন্ত ম্যাড়ম্যাড়ে এক ম্যাচই উপহার পেয়েছেন দর্শকেরা—স্কোরলাইন ০-০। তবে ম্যাচটা ড্র করেও শেষ ষোলোতে উঠতে কোনো অসুবিধা হয়নি এই মুহূর্তে স্প্যানিশ লিগের শীর্ষে থাকা দলটির।
ম্যাচটিতে যেকোনো মূল্যে না হারার একটা প্রচ্ছন্ন পরিকল্পনা টের পাওয়া গেছে দুই দলের খেলা দেখেই। তবে একটি রেকর্ড বার্সেলোনার সমর্থকদের মধ্যে খচখচানিটা কিন্তু রেখে যাচ্ছেই। ইতালির মাঠে সর্বশেষ ৫ ম্যাচের একটিতেও জেতেনি তারা। আজ তুরিনের গোলশূন্য ড্র সেই সংখ্যাকে ৬-এ উন্নীত করছে। ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারার পর জুভেন্টাসও ঘরের মাঠে হারের তেতো স্বাদটা প্রায় ভুলেই গেছে। আজকের ম্যাচে ঘরের মাঠের গর্বটা অক্ষুণ্ন রাখল তারা।
ম্যাচটা ড্র হওয়াতে আজই জুভেন্টাসের শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যায়নি। নিশ্চিত হতো যদি ঘরের মাঠে স্পোর্টিং অলিম্পিয়াকোসের কাছে হেরে যেত। কিন্তু সেটি হয়নি। অলিম্পিয়াকোস হেরেছে ৩-১ গোলে। সে কারণেই জুভেন্টাসের শেষ ষোলো ঝুলে থাকছে। তবে কোনো প্রকার অঘটন না ঘটলে গ্রুপ ‘ডি’র রানার্সআপ হয়ে ইতালীয় ক্লাবটির চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠাটা প্রায় নিশ্চিতই। ‘অঘটন’ বলতে শেষ ম্যাচে অলিম্পিয়াকোসের কাছে হেরে যাওয়া—সেটির শঙ্কা কতটুকু, সেটি অবশ্য তর্কসাপেক্ষ।
নিজেদের মাঠে জুভেন্টাসকে ৩-০ গোলে হারিয়েই এই গ্রুপের শীর্ষ স্থানটা মোটামুটি নিশ্চিত করে ফেলে বার্সেলোনা। আজকের ম্যাচ ড্র হওয়ায় তাদের মোট পয়েন্ট ১১। জুভেন্টাস দ্বিতীয় স্থানে আছে ৮ পয়েন্ট নিয়ে। স্পোর্টিং আজ জেতায় তাদের পয়েন্ট ৭। ১ পয়েন্ট নিয়ে ধুঁকতে থাকা অলিম্পিয়াকোস তো বাদ পড়ে গেছে আগেই।