ঢাকা ০৬:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিস্তার চরে আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩১৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাঁচ থেকে ছয় দিন পরেই রংপুরের বাজারে  আগাম আলু উঠতে শুরু করবে। আগাম আলু চাষের এলাকা হল তিস্তার চর।  তিস্তার তীরবর্তী তিন উপজেলার ১৫০ চরের কৃষকরা  স্বল্পমেয়াদী জাতের আলুর চাষ করেছে। আগাম আলু উত্তোলনকে ঘিরে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তারা দল বেঁধে আলুক্ষেত পরিচর্যা করছেন। যা এখন বাজারে আসার অপেক্ষায়।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ঢুষমারা, নাজিরদহ, পাঞ্জরভাঙ্গা, গদাই, আরাজি হরিশ্বর, হরিশ্বর, আরাজি শাহাবাজ, নিজপাড়া, গোপীডাঙ্গা, সুবাঘাট, সনসনাটারী, রাজিব, নিলাম খরিদা সরদা, আজম খাঁ, হয়বত খাঁ, জিগাবাড়ি, আরাজী কানুয়া, বাজেমশকুর, বিনোদ মাঝি, বিশ্বনাথ, সদরা তালুক, সাব্দী, সাধু, প্রাণনাথচর, চরচতুরা, ঠাকুর দাস, ধুমগড়, নাজিরদহ, পল্লীমারি, সোনাতন, চারুভদ্র, হারাগাছ চতুরা, পীরগাছার  রহমত চর, শিবদেব, তাম্বুলপুর, চর ছাওলা, গঙ্গাচড়ার বিনবিনা, ইচলী, নয়ালী, গাকদহরা, মুকুট চর, আপুলিয়া সংকটদহসহ অন্যান্য চরে আগাম ও স্বল্প মেয়াদী জাতের আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা আগাম আলু বপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

একদিকে, চলছে স্বল্প মেয়াদী ও আগাম জাতের আমন ধান কাটা। অন্যদিকে, চলছে আলু রোপণে জমি তৈরি। কোথাও কোথাও আগাম আলু বপনের পর তারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কাউনিয়ার গদাই চরের নজরুল ইসলাম  জানান,  গত বছর বছর আলুতে লোকসান হয়েছে। এবার আলু দিয়ে তা পূরণ করার ইচ্ছে আছে। বাজারে আলু তুলতে পারলেই  ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হবে। ওই এলাকার মজিদের ৩বিঘা, পাঞ্জরভাঙ্গার   লাবলুর ৫বিঘা  দবিরের ৬বিঘা , রবিউলের  ৪ বিঘার আলু উত্তোলনের পথে। পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে তাদের আলু উঠবে।

এদিকে গঙ্গাচড়ার রউফের ৩ বিঘা, হামিদের ২ বিঘা,  সুবহান মিয়ার ৫ বিঘা, মান্নানের ২বিঘা, আজিজারের ৩বিঘাসহ আরো অনেক কৃষকের আগাম রোপণকৃত আলু উত্তোলনের  প্রায় সময় হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,  রংপুরের কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া এবং পীরগাছা উপজেলায় এক সময়ের পতিত তিস্তার চরের আলুর বাম্পার ফলন হচ্ছে। গত বছর এই তিন উপজেলায়  ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে কাউনিয়া উপজেলায়  ৪ হাজার ২০০ হেক্টর, গঙ্গাচড়ায় ৭ হাজার হেক্টর ও পীরগাছার ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর। যার মধ্যে আগাম আলু উৎপাদিত হয়েছিল ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
গত বছর আলুতে লোকসান হওয়ায় চলতি বছর আরও বেশি জমিতে আলু চাষ করেছেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক স,ম আশরাফ আলী, গত বছর তিস্তার তীরবর্তী তিন উপজেলার ১৫০ চরে ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জামিতে আলু চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ করা হয়েছিল ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এবার তিন উপজেলায় বুধবার (২২ নভেম্বর) পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হয়েছে। তবে এ বছর আগাম আলু ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

তিস্তার চরে আলু ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

আপডেট টাইম : ০৬:০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পাঁচ থেকে ছয় দিন পরেই রংপুরের বাজারে  আগাম আলু উঠতে শুরু করবে। আগাম আলু চাষের এলাকা হল তিস্তার চর।  তিস্তার তীরবর্তী তিন উপজেলার ১৫০ চরের কৃষকরা  স্বল্পমেয়াদী জাতের আলুর চাষ করেছে। আগাম আলু উত্তোলনকে ঘিরে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। তারা দল বেঁধে আলুক্ষেত পরিচর্যা করছেন। যা এখন বাজারে আসার অপেক্ষায়।

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ঢুষমারা, নাজিরদহ, পাঞ্জরভাঙ্গা, গদাই, আরাজি হরিশ্বর, হরিশ্বর, আরাজি শাহাবাজ, নিজপাড়া, গোপীডাঙ্গা, সুবাঘাট, সনসনাটারী, রাজিব, নিলাম খরিদা সরদা, আজম খাঁ, হয়বত খাঁ, জিগাবাড়ি, আরাজী কানুয়া, বাজেমশকুর, বিনোদ মাঝি, বিশ্বনাথ, সদরা তালুক, সাব্দী, সাধু, প্রাণনাথচর, চরচতুরা, ঠাকুর দাস, ধুমগড়, নাজিরদহ, পল্লীমারি, সোনাতন, চারুভদ্র, হারাগাছ চতুরা, পীরগাছার  রহমত চর, শিবদেব, তাম্বুলপুর, চর ছাওলা, গঙ্গাচড়ার বিনবিনা, ইচলী, নয়ালী, গাকদহরা, মুকুট চর, আপুলিয়া সংকটদহসহ অন্যান্য চরে আগাম ও স্বল্প মেয়াদী জাতের আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা আগাম আলু বপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।

একদিকে, চলছে স্বল্প মেয়াদী ও আগাম জাতের আমন ধান কাটা। অন্যদিকে, চলছে আলু রোপণে জমি তৈরি। কোথাও কোথাও আগাম আলু বপনের পর তারা পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কাউনিয়ার গদাই চরের নজরুল ইসলাম  জানান,  গত বছর বছর আলুতে লোকসান হয়েছে। এবার আলু দিয়ে তা পূরণ করার ইচ্ছে আছে। বাজারে আলু তুলতে পারলেই  ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হবে। ওই এলাকার মজিদের ৩বিঘা, পাঞ্জরভাঙ্গার   লাবলুর ৫বিঘা  দবিরের ৬বিঘা , রবিউলের  ৪ বিঘার আলু উত্তোলনের পথে। পাঁচ থেকে ছয় দিনের মধ্যে তাদের আলু উঠবে।

এদিকে গঙ্গাচড়ার রউফের ৩ বিঘা, হামিদের ২ বিঘা,  সুবহান মিয়ার ৫ বিঘা, মান্নানের ২বিঘা, আজিজারের ৩বিঘাসহ আরো অনেক কৃষকের আগাম রোপণকৃত আলু উত্তোলনের  প্রায় সময় হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,  রংপুরের কাউনিয়া, গঙ্গাচড়া এবং পীরগাছা উপজেলায় এক সময়ের পতিত তিস্তার চরের আলুর বাম্পার ফলন হচ্ছে। গত বছর এই তিন উপজেলায়  ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে কাউনিয়া উপজেলায়  ৪ হাজার ২০০ হেক্টর, গঙ্গাচড়ায় ৭ হাজার হেক্টর ও পীরগাছার ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর। যার মধ্যে আগাম আলু উৎপাদিত হয়েছিল ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে।
গত বছর আলুতে লোকসান হওয়ায় চলতি বছর আরও বেশি জমিতে আলু চাষ করেছেন কৃষকরা।
কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক স,ম আশরাফ আলী, গত বছর তিস্তার তীরবর্তী তিন উপজেলার ১৫০ চরে ২০ হাজার ৭০০ হেক্টর জামিতে আলু চাষ হয়েছিল। এর মধ্যে আগাম আলু চাষ করা হয়েছিল ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে। এবার তিন উপজেলায় বুধবার (২২ নভেম্বর) পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হয়েছে। তবে এ বছর আগাম আলু ৮ হাজার ৫০০ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে।