হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী বছরের জুন-জুলাই রাশিয়ায় বসবে ফিফা বিশ্বকাপের ২১তম আসর। ২০০৬ ফিফা বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো ইউরোপে অনুষ্ঠিত হবে ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ। ইতোমধ্যে ৩২টি দল হাতে পেয়েছে বিশ্বকাপের টিকিট। যার মধ্যে আছে সৌদি আরবের নাম। দীর্ঘ এক যুগ পর বিশ্বমঞ্চে উঠে অঘটনের জন্ম দিতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। সৌদি আরবের বিশ্বকাপ ইতিহাস ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে প্রথম অভিষেক হয় সৌদি আরবের।
প্রথমবারই বাজিমাত করে দেশটি। গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডস ও মরক্কোকে হারিয়ে নকআউট পর্বে নাম লেখায় সৌদি। ১৬ দলের লড়াইয়ে সুইডেনের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় তারা। এরপর ১৯৯৮, ২০০২ এবং ২০০৬ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে সৌদি আরব। ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ২০১৪ সালে ব্রাজিলের মাটিতে খেলাই হয়নি আরব দেশটির। অবশেষে জাপানকে ১-০ হারিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপে বিশ্বকাপের টিকিট কাটল সৌদি আরব।
বর্তমান দল কেমন সর্বশেষ দুই বিশ্বকাপ ছাড়াও বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্টে ছিল না সৌদি আরবের নাম। ২০০৭ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেও শিরোপা জেতা হয়নি তাদের। এরপর ২০১১ এবং ২০১৫ এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বই পার হতে পারেনি দেশটি। দিন যত যায়, ততই যেন ধার কমতে থাকে সৌদি ফুটবলের। শেষমেশ রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট পেয়ে স্বস্তিতে দেশটির ফুটবলপ্রেমীরা। সবাই মনেপ্রাণে চাচ্ছে এবার অনন্ত ভালো কিছু করবে সৌদি। বর্তমান দলে বেশ কিছু ফুটবলার আছেন-ওসামা, তাইসির আল জাসিম, মুহান্নাদ, নওয়াফ, ফাহাদ আল মুয়াল্লাদ, ইব্রাহিম মোহাম্মদ, নাসের আল সামরানি, নায়েফ হাজী। এই কয়েকজন ফুটবলার রাশিয়া বিশ্বকাপে আলো ছড়াতে পারেন।
প্রধান কোচ আর্জেন্টিনা ফুটবল দল থেকে বাদ পড়া এদগার্দো বাউজাকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিয়েছে সৌদি আরব। মেসিদের কোচিং করানো ছাড়াও বাউজা ছিলেন সাও পাওলো, কোলন, আল নাসের দলের কোচ। খেলোয়াড়ি জীবনে আর্জেন্টিনা দলের রক্ষণভাগ সামলান বেশ ভালোভাবেই।