হাওর বার্তা ডেস্কঃ সপ্তাহ খানেক আগেই চোখের জলে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। ঠিক করে রেখেছেন ফুটবলকে বিদায় জানাবেন, যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শেষ হবে তাঁর ক্লাব, জুভেন্টাসের। তিনি— জানলুইজি বুফন। উল্টো দিকে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এখনও যথেষ্ট ভাল ফর্মেই। বুফনের ইতালি যখন সুইডেনের কাছে হেরে ছিটকে যায় বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে, তখন তাঁর আর্জেন্টিনা পরের বছর বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা পেয়ে গিয়েছে। পেয়ে গিয়েছে তাঁর অসাধারণ হ্যাটট্রিকের জন্য। জুভেন্টাসের সঙ্গে শেষ ম্যাচেও দু’গোল করেছেন। তিনি— লিওনেল মেসি।
বুফন বনাম মেসি। জুভেন্টাস বনাম বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এই ম্যাচের ওপর পরের রাউন্ডে যাওয়ার ভাগ্য হয়তো নির্ভর করে নেই, কিন্তু গ্রুপে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থানে কে থাকবে, তা ঠিক হয়ে যেতে পারে এই দু’দলের ম্যাচে।
শনিবার সিরি আ-তে সাম্পদোরিয়ার বিরুদ্ধে জুভেন্টাসের যে দলটা হেরে যায়, তাতে অবশ্য বুফন খেলেননি। তাঁকে বিশ্রাম দেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, ‘বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেননি বুফন। তাই তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হচ্ছে।’ কিংবদন্তি গোলকিপার মাঠে থেকে হার দেখেছেন দলের। বৃহস্পতিবার রাতে আরও একবার ক্লাবের জার্সি গায়ে বুফনকে দেখতে মুখিয়ে থাকবেন দর্শকরা।
বুফন নিয়ে আবেগ তাঁর ভক্তদের মধ্যেই আটকে থাকেনি। প্রতিপক্ষ এক ফুটবলারের মুখেও শোনা গিয়েছে। মঙ্গলবার তুরিনে পৌঁছে বার্সার ইভান রাকিতিচ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সে দিন বুফনের কান্না দেখে আমারও কান্না পাচ্ছিল। বুফনের মতো একজন কিংবদন্তি এ ভাবে চলে যেতে পারে না। ও আমার ছেলেবেলার নায়ক। সম্ভব হলে আমি ওকে বলতাম, আমার জায়গায় বিশ্বকাপ খেলো তুমি।’
শুধু বুফন নন, তাঁর সতীর্থ মেসি সম্পর্কেও শ্রদ্ধা ঝরে পড়েছে রাকিতিচের গলায়। তিনি বলেছেন, ‘মেসিকে আমি যখনই দেখি, মনে হয় ও একই রকম ফর্মে আছে। বার্সার সবাই মেসির মূল্যটা বোঝে। আমি নিশ্চিত, মেসি এখানেই থেকে যাবে।