যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কয়েক হাজার ইমেইল প্রকাশ করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার সময় ব্যক্তিগত কম্পিউটার সার্ভিসকে তিনি কি কি কাজে ব্যবহার করেছেন সেবিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবেই এসব প্রকাশ করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তার মধ্য থেকে দেড়শোর মতো ই-মেইল পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। সেগুলোর কিছু কিছু অংশ কেটে ছেঁটে বাদ দেওয়া হয়েছে। মিসেস ক্লিনটন অবশ্য বলছেন যে এই সার্ভার ব্যবহার করে কোনো ধরনের গোপনীয় তথ্য তিনি কোথায় পাঠান নি এবং গ্রহণও করেন নি। তবে তিনি স্বীকার করেছেন যে নিউ ইয়র্কের বাড়িতে থেকে ব্যক্তিগত ইমেল সার্ভার ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো।
কর্তৃপক্ষ বলছে, এসব ইমেইলে গোপনীয় তথ্য থাকার কারণেই সেগুলো পুরোপুরি প্রকাশ করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটন ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী। আগামী বছর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০০৯ সাথে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
সংবাদদাতারা বলছেন, এই তদন্ত মিসেস ক্লিনটনের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও নষ্ট করেছে। কারণ তার প্রতিদ্বন্ধীরা অভিযোগ করছেন যে অনিরাপদ কম্পিউটার সার্ভিস ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে তিনি ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছিলেন। ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বলছেন, হিলারি ক্লিনটনের প্রতি জনগণের সমর্থনও কিছুটা কমেছে। বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন।