ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পানির দামে গলদা চিংড়ি মাছ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
  • ১৩৯৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গলদার ঘের কইরে (করে) সর্বস্ব হারানোর মতো অবস্থা হইছে। খরচের টাকাও উঠাতি পারছি না। পানির দামে মাছ বিক্রি করতি হচ্ছে। আট বিঘা ঘেরে গলদা চিংড়ি চাষ করেছেন। গত বছর প্রতি কেজি ১২শ’ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এখন ৪৭৫ থেকে ৫শ’ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে সেই আকারের গলদা চিংড়ি।

আজ (২১ নভেম্বর) দুপুরে আলাপকালে চিংড়ি চাষি হাওর বার্তাকে কাছে আক্ষেপ করে বলেন, এবার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যারা ব্যাংক লোন নিয়েছেন তাদের মরার উপর খাড়ার ঘাঁ ! দাম কমে যাওয়ায় হাজার হাজার চিংড়ি চাষির পথে বসার অবস্থা হয়েছে। সরকার আমাদের দিকে একটু তাকালে অনেক উপকার হয়।

Related image

গলদা চিংড়ি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সাদা সোনা নামে খ্যাত রপ্তানিজাত গলদা চিংড়ির দামে আকস্মিক ধস নেমেছে। এতে চিংড়ি চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় গলদার দাম হ্রাস পেয়েছে। ফলে দুই বছরের ব্যবধানে গলদা চিংড়ি রপ্তানি কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ।

মৎস্য অফিস সূত্র ও গলদা চিংড়ি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলায় ১০ লক্ষাধিক ছোট-বড় গলদা চিংড়ির ঘের আছে। দেশের গলদা চিংড়ির সবচেয়ে বড় বাজার ছিল যুক্তরাজ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়ায় গলদা চিংড়ি কিনছে না যুক্তরাজ্য। এ কারণে চাষিরা স্থানীয় বাজারে কম দামে গলদা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। রফতানিকারকদেরও মাথা হাত পড়েছে। সরকারও হারাচ্ছে বিশাল আকারের বৈদেশিক মুদ্রা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পানির দামে গলদা চিংড়ি মাছ

আপডেট টাইম : ০৬:৪৯:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গলদার ঘের কইরে (করে) সর্বস্ব হারানোর মতো অবস্থা হইছে। খরচের টাকাও উঠাতি পারছি না। পানির দামে মাছ বিক্রি করতি হচ্ছে। আট বিঘা ঘেরে গলদা চিংড়ি চাষ করেছেন। গত বছর প্রতি কেজি ১২শ’ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এখন ৪৭৫ থেকে ৫শ’ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে সেই আকারের গলদা চিংড়ি।

আজ (২১ নভেম্বর) দুপুরে আলাপকালে চিংড়ি চাষি হাওর বার্তাকে কাছে আক্ষেপ করে বলেন, এবার ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যারা ব্যাংক লোন নিয়েছেন তাদের মরার উপর খাড়ার ঘাঁ ! দাম কমে যাওয়ায় হাজার হাজার চিংড়ি চাষির পথে বসার অবস্থা হয়েছে। সরকার আমাদের দিকে একটু তাকালে অনেক উপকার হয়।

Related image

গলদা চিংড়ি সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, চলতি মৌসুমে সাদা সোনা নামে খ্যাত রপ্তানিজাত গলদা চিংড়ির দামে আকস্মিক ধস নেমেছে। এতে চিংড়ি চাষি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় গলদার দাম হ্রাস পেয়েছে। ফলে দুই বছরের ব্যবধানে গলদা চিংড়ি রপ্তানি কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ।

মৎস্য অফিস সূত্র ও গলদা চিংড়ি রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও যশোর জেলায় ১০ লক্ষাধিক ছোট-বড় গলদা চিংড়ির ঘের আছে। দেশের গলদা চিংড়ির সবচেয়ে বড় বাজার ছিল যুক্তরাজ্য। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর থেকে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়ায় গলদা চিংড়ি কিনছে না যুক্তরাজ্য। এ কারণে চাষিরা স্থানীয় বাজারে কম দামে গলদা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। রফতানিকারকদেরও মাথা হাত পড়েছে। সরকারও হারাচ্ছে বিশাল আকারের বৈদেশিক মুদ্রা।