ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মরে যাচ্ছে আতব ধানের শীষ, ঔষধ প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছেনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:২৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৮১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁর রাণীনগরে শত শত হেক্টর জমির আতব ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। নানা রকম কোম্পানীর কিটনাশক ঔষধ প্রয়োগ করেও ফল পাচ্ছে না কৃষকরা। ফলে ধান আবাদের ফলন ও খরচ তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছেন কৃষকরা। ধানের শীষ মরাকে কৃষকরা ব্লাস্ট রোগ দাবি করলেও কৃষি কর্মকর্তা বলছেন এটি মাজরা এবং ঝরো বাতাসের কারনে মরে যাচ্ছে । চলতি মৌসুমে রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬ হাজার ৮০ হেক্টর আবাদী ধানের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার ৬শত ৫০ হেক্টর জমির ধান এবারের ভয়াবহ বন্যার পানিতে তলে নষ্ট হয়ে যায় । দ্বিতীয় দফায় বিভিন্ন এনজিও সংস্থা,সমিতি আবার কেউবা বাড়ীর হাঁস-মূরগী বিক্রি করে লোকশান কেটে ওঠতে চরা দামে চারা ও ধান গাছ কিনে জমি রোপন করেন কৃষকরা।

এর পর বন্যার ধকল কেটে উঠতে না উঠতেই ধান গামরের সময় টানা বৃষ্টি ও ঝরো হাওয়ায় ধান গাছগুলো সাট হয়ে পানিতে শুয়ে পরে যায়। এতে করে ফলন নিয়ে হতাশায় পরেন কৃষকরা। শুয়ে পড়া ধানে অনেক পরিচর্যা করার পর কিছুটা স্বাভাবীক হলেও চিনি আতব ধানের শীষ অসস্বাভাবিক হারে মরতে থাকে।

ধানের শীষ মরা রোধ করতে পাগলপ্রায় কৃষকরা একের পর এক বিভিন্ন কিটনাশক ঔষধ কোম্পানির ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। এতে করে ধানের ফলন ও খরচের টাকা তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পরেছেন তারা ।

রাণীনগর উপজেলার স্থল গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, তিনি এবার প্রায় ১৩ বিঘা জমিতে চিনি আতব ধান রোপন করেছেন। ব্লাস্ট রোগের আক্রমনে ধানের শীষ বেড় হওয়া থেকে শুরু করে এপর্যন্ত যে ভাবে শীষ মরে যাচ্ছে তাতে ধানের ফলন অর্ধেকেরও কম হবে এবং বিভিন্ন কোম্পানির কিটনাশক ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না।

রাতোয়াল গ্রামের উজ্জল হোসেন জানান,তার ধানের শীষ মরা কম থাকলেও ওই মাঠে শীষ মরা রোগের ব্যাপক প্রকোপ রয়েছে।

করজগ্রামের কৃষক কাজী আনিছুর রহমান জানান, এবারে ধানের যে অবস্থা আর যেভাবে শীষ মরে যাচ্ছে তাতে ধানের ফলন এবং আবাদের খরচ তোলা নিয়ে চরম হতাশায় রয়েছি।

এব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারোয়ার জানান, চলতি মৌসুমে শুধু মাত্র চিনি আতব ধানেরই আবাদ রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে। তবে এ মৌসুমে ধানে কোন রুপ ব্লাস্ট রোগ নেই দাবি করে জানান, অল্প পরিমান কিছু জমিতে শীষ মরে গেছে যা মাজরা ও ঝরো বাতাসের কারনে হয়েছে। তাছাড়া তেমন কোন রোগবালাই নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মরে যাচ্ছে আতব ধানের শীষ, ঔষধ প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছেনা

আপডেট টাইম : ১২:২৬:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নওগাঁর রাণীনগরে শত শত হেক্টর জমির আতব ধানের শীষ মরে যাচ্ছে। নানা রকম কোম্পানীর কিটনাশক ঔষধ প্রয়োগ করেও ফল পাচ্ছে না কৃষকরা। ফলে ধান আবাদের ফলন ও খরচ তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছেন কৃষকরা। ধানের শীষ মরাকে কৃষকরা ব্লাস্ট রোগ দাবি করলেও কৃষি কর্মকর্তা বলছেন এটি মাজরা এবং ঝরো বাতাসের কারনে মরে যাচ্ছে । চলতি মৌসুমে রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬ হাজার ৮০ হেক্টর আবাদী ধানের মধ্যে প্রায় ৮ হাজার ৬শত ৫০ হেক্টর জমির ধান এবারের ভয়াবহ বন্যার পানিতে তলে নষ্ট হয়ে যায় । দ্বিতীয় দফায় বিভিন্ন এনজিও সংস্থা,সমিতি আবার কেউবা বাড়ীর হাঁস-মূরগী বিক্রি করে লোকশান কেটে ওঠতে চরা দামে চারা ও ধান গাছ কিনে জমি রোপন করেন কৃষকরা।

এর পর বন্যার ধকল কেটে উঠতে না উঠতেই ধান গামরের সময় টানা বৃষ্টি ও ঝরো হাওয়ায় ধান গাছগুলো সাট হয়ে পানিতে শুয়ে পরে যায়। এতে করে ফলন নিয়ে হতাশায় পরেন কৃষকরা। শুয়ে পড়া ধানে অনেক পরিচর্যা করার পর কিছুটা স্বাভাবীক হলেও চিনি আতব ধানের শীষ অসস্বাভাবিক হারে মরতে থাকে।

ধানের শীষ মরা রোধ করতে পাগলপ্রায় কৃষকরা একের পর এক বিভিন্ন কিটনাশক ঔষধ কোম্পানির ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না। এতে করে ধানের ফলন ও খরচের টাকা তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পরেছেন তারা ।

রাণীনগর উপজেলার স্থল গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান জানান, তিনি এবার প্রায় ১৩ বিঘা জমিতে চিনি আতব ধান রোপন করেছেন। ব্লাস্ট রোগের আক্রমনে ধানের শীষ বেড় হওয়া থেকে শুরু করে এপর্যন্ত যে ভাবে শীষ মরে যাচ্ছে তাতে ধানের ফলন অর্ধেকেরও কম হবে এবং বিভিন্ন কোম্পানির কিটনাশক ঔষধ প্রয়োগ করেও কোন ফল পাচ্ছেন না।

রাতোয়াল গ্রামের উজ্জল হোসেন জানান,তার ধানের শীষ মরা কম থাকলেও ওই মাঠে শীষ মরা রোগের ব্যাপক প্রকোপ রয়েছে।

করজগ্রামের কৃষক কাজী আনিছুর রহমান জানান, এবারে ধানের যে অবস্থা আর যেভাবে শীষ মরে যাচ্ছে তাতে ধানের ফলন এবং আবাদের খরচ তোলা নিয়ে চরম হতাশায় রয়েছি।

এব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারোয়ার জানান, চলতি মৌসুমে শুধু মাত্র চিনি আতব ধানেরই আবাদ রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৯শত হেক্টর জমিতে। তবে এ মৌসুমে ধানে কোন রুপ ব্লাস্ট রোগ নেই দাবি করে জানান, অল্প পরিমান কিছু জমিতে শীষ মরে গেছে যা মাজরা ও ঝরো বাতাসের কারনে হয়েছে। তাছাড়া তেমন কোন রোগবালাই নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।