ঢাকা ০৭:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনালি ধানের শীষে ভরে উঠেছে মাঠ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭
  • ২৮৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরে কৃষকের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে সোনালি ধানের শীষ। এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় আমনের গাছ হেলে পড়েছে শীষের ভারে। চলতি মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ২৩ হেক্টর বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। ১ লাখ ৩৭ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার দিনাজপুরে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আগস্ট মাসের প্রথম দিকের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন কৃষকেরা। নষ্ট হয়ে যায় ১ লাখ ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল। বন্যা শেষে নতুন করে ধানের বীজতলা তৈরি দিয়ে শুরু হয় ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে আমনের চারা রোপণ। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সমানতালে মাঠে ঘাম ঝরাতে থাকেন কৃষকেরা।

দিনাজপুর সদর উপজেলার উথরাইল ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার কৃষক মো. মহসিন আলী সরকার বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও ৫ বিঘা জমিতে আমনের চারা রোপণ করেছিলাম। বন্যায় রোপণ করা চারা নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন করে চারা রোপণ করি। সবজি চাষের জন্য রাখা দেড় বিঘা জমিতেও আমনের আবাদ করেছি। জমিতে এবার বিপুল পরিমাণে ধানের শীষ দেখা এসেছে। আশা করছি, এ ফসল উঠলে বন্যার ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবো’।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বন্যার পর জমির পলি ভেসে উঠেছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে পরবর্তী কয়েক বছর ভালো ফলন হয়। তাই এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। আশা করছি, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকেরা তাদের জমির ফসল কাটতে শুরু করবেন। এর আগে আমনের আগাম জাতের ধানেরও ভালো ফলন হয়েছে। নতুন ধান উঠলে অস্থির চালের বাজারেও স্বস্তি ফিরে আসবে’।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সোনালি ধানের শীষে ভরে উঠেছে মাঠ

আপডেট টাইম : ০৪:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরে কৃষকের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে সোনালি ধানের শীষ। এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় আমনের গাছ হেলে পড়েছে শীষের ভারে। চলতি মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ২৩ হেক্টর বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। ১ লাখ ৩৭ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার দিনাজপুরে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আগস্ট মাসের প্রথম দিকের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন কৃষকেরা। নষ্ট হয়ে যায় ১ লাখ ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল। বন্যা শেষে নতুন করে ধানের বীজতলা তৈরি দিয়ে শুরু হয় ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে আমনের চারা রোপণ। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সমানতালে মাঠে ঘাম ঝরাতে থাকেন কৃষকেরা।

দিনাজপুর সদর উপজেলার উথরাইল ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার কৃষক মো. মহসিন আলী সরকার বলেন, ‘প্রতিবারের মতো এবারও ৫ বিঘা জমিতে আমনের চারা রোপণ করেছিলাম। বন্যায় রোপণ করা চারা নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন করে চারা রোপণ করি। সবজি চাষের জন্য রাখা দেড় বিঘা জমিতেও আমনের আবাদ করেছি। জমিতে এবার বিপুল পরিমাণে ধানের শীষ দেখা এসেছে। আশা করছি, এ ফসল উঠলে বন্যার ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবো’।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, বন্যার পর জমির পলি ভেসে উঠেছে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে পরবর্তী কয়েক বছর ভালো ফলন হয়। তাই এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আমনের চাষ হয়েছে। আশা করছি, উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে কৃষকেরা তাদের জমির ফসল কাটতে শুরু করবেন। এর আগে আমনের আগাম জাতের ধানেরও ভালো ফলন হয়েছে। নতুন ধান উঠলে অস্থির চালের বাজারেও স্বস্তি ফিরে আসবে’।