ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাঠজুড়ে সোনালি ধানের হাতছানি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:২৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরে কৃষকের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে সোনালি ধানের শীষ। এবার ভালো ফলন হওয়ায় আমনের গাছ হেলে পড়েছে শীষের ভারে। জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ২৩ হেক্টর বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৩৭ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে যেভাবে ফলন দেখা দিয়েছে তাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার দিনাজপুরে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আগস্ট মাসের প্রথম দিকের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন কৃষকেরা। নষ্ট হয়ে যায় ১ লাখ ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল। আশঙ্কা দেখা দেয় আমন চাষে। নতুন করে ধানের বীজতলা তৈরি দিয়ে শুরু হয় ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে আমনের চারা রোপণ। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সমানতালে মাঠে ঘাম ঝরাতে থাকেন কৃষকেরা।

Related image

দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার ৭ নম্বর উথরাইল ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার কৃষক মো. মহসিন আলী সরকার হাওর বার্তাকে বলেন, বন্যার আগে প্রতিবারের মতো এবারও ৫ বিঘা জমিতে আমনের চারা রোপণ করি। বন্যার কারণে রোপণ করা চারা নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন করে আমনের চারা রোপণ করি। সবজি চাষের জন্য রাখা দেড় বিঘা জমিতেও চারা রোপণ করেছি। বর্তমানে জমিতে বিপুল পরিমাণে ধানের শীষ দেখা দিয়েছে। আশা করছি এই ফসল উঠলে বন্যার ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠবো।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা হাওর বার্তাকে বলেন, বন্যার পর জমির পলি ভেসে উঠে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে পরবর্তী কয়েক বছর ভালো ফলন হয়। তাই এবার আমনের বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় কৃষকেরা তাদের জমির ফসল কাটতে শুরু

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

মাঠজুড়ে সোনালি ধানের হাতছানি

আপডেট টাইম : ০৬:২৭:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ দিনাজপুরে কৃষকের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দোল খাচ্ছে সোনালি ধানের শীষ। এবার ভালো ফলন হওয়ায় আমনের গাছ হেলে পড়েছে শীষের ভারে। জেলায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ২৩ হেক্টর বেশি জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৩৭ হাজার টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে যেভাবে ফলন দেখা দিয়েছে তাতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার দিনাজপুরে ২ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৭ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু আগস্ট মাসের প্রথম দিকের বন্যায় ব্যাপক ক্ষতির শিকার হন কৃষকেরা। নষ্ট হয়ে যায় ১ লাখ ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল। আশঙ্কা দেখা দেয় আমন চাষে। নতুন করে ধানের বীজতলা তৈরি দিয়ে শুরু হয় ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে আমনের চারা রোপণ। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সমানতালে মাঠে ঘাম ঝরাতে থাকেন কৃষকেরা।

Related image

দিনাজপুর জেলার সদর উপজেলার ৭ নম্বর উথরাইল ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকার কৃষক মো. মহসিন আলী সরকার হাওর বার্তাকে বলেন, বন্যার আগে প্রতিবারের মতো এবারও ৫ বিঘা জমিতে আমনের চারা রোপণ করি। বন্যার কারণে রোপণ করা চারা নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নতুন করে আমনের চারা রোপণ করি। সবজি চাষের জন্য রাখা দেড় বিঘা জমিতেও চারা রোপণ করেছি। বর্তমানে জমিতে বিপুল পরিমাণে ধানের শীষ দেখা দিয়েছে। আশা করছি এই ফসল উঠলে বন্যার ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে উঠবো।

দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. গোলাম মোস্তফা হাওর বার্তাকে বলেন, বন্যার পর জমির পলি ভেসে উঠে। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে পরবর্তী কয়েক বছর ভালো ফলন হয়। তাই এবার আমনের বাম্পার ফলন দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে স্থানীয় কৃষকেরা তাদের জমির ফসল কাটতে শুরু