ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জন্ডিস চিকিৎসায় মুলা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:২৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭
  • ৩৩৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম মুলা। এটি রান্না কিংবা কাঁচা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। শীতকালীন সবজি হওয়ায় বছরের অন্য সময় এটি খুব একটা দেখা যায় না।

গবেষকরা বলছেন, দিনের পর দিন ওষুধ খেয়ে যেকোন রোগ সারানোর চেয়ে প্রাকৃতিক শাকসবজি এবং ফলমূল অনেক বেশি কার্যকরী। সেদিক দিয়ে মুলা বেশ উপকারী।

জন্ডিস চিকিৎসায় কার্যকরী : জন্ডিসের মতো রোগ সারাতে মুলার জুড়ি নেই। কারণ এই সবজি লিভার এবং পাকস্থলীর জন্য খুব উপকারী। এটা শরীরে ডি টক্সিফায়ারের কাজ করে রক্ত পরিষ্কার রাখে। জন্ডিস হলে রক্তে বিলুরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়, মুলা এই মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই রোগের কারণে শরীরে যে রেড ব্লাড সেলের ক্ষতি হয়, অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে সেটাও পূরণ করে মুলা। এছাড়া জন্ডিসের জন্য মুলাশাকও বেশ উপকারী।

পাইলস প্রতিরোধ করে: মুলাতে অপচনীয় কার্বোহাইড্রেট থাকে যার ফলে হজম ঠিক হয়, শরীরে পানির মাত্রা ঠিক থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। ফলে পাইলসয়ের ঝুঁকিও কমায়।

ইউরিন সংক্রমন কমায়: মুলা শরীরে ইউরিনের পরিমান বাড়ায়, সংক্রমন হলে যে জ্বালা যন্ত্রণা হয় সেটাও কমাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কিডনি আর ইউরিনারী সিস্টেম পরিষ্কার রাখে।

ওজন কমাতে সহায্য করে : মুলা খুব সহজেই খিদে মেটায়। এর মানে হল অল্প পরিমাণ খাওয়াতে পেট ভরে কিন্তু ক্যালরি বাড়ে না। এর মধ্যে অল্প পরিমানে কার্বোহাইড্রেট, প্রচুর পরিমাণে পানি , হজমশক্তি সহায়ক উপাদান থাকে। একারণে যারা ওজন কমাতে চান তারা নিশ্চিন্তে মুলা খেতে পারেন ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মুলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া যেকোন ধরনের ইনফেকশনের ঝুঁকিও কমায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে : মুলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে যা শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে : মুলা শরীরে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। একারণে ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও মুলা বেশ উপকারী।

ত্বকের সুরক্ষা করে : ভিটামিন, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি থাকায় মুলা ত্বকের জন্যও বেশ ভাল। মুলায় থাকা পানি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্লেণ্ড করা মুলা ফেসপ্যাক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

পোকার কামড় সারিয়ে তোলে: মুলাতে অ্যান্টি প্ররিটিক আছে। যেকোন ধরনের পোকামাকড় কিংবা মৌমাছির কামড় সারাতে মুলার রশ বেশ কার্যকরী। আক্রান্তস্থলে এই রস লাগালে ব্যথা এবং ফোলা কমে যাবে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় : মুলায় থাকা ডিটক্সিফায়ার, ভিটামিন সি‚ ফলিক অ্যাসিড কোলন ও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সূত্র : অর্গানিকফ্যাক্টস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জন্ডিস চিকিৎসায় মুলা

আপডেট টাইম : ০৭:২৯:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ শীতকালীন সবজির মধ্যে অন্যতম মুলা। এটি রান্না কিংবা কাঁচা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। শীতকালীন সবজি হওয়ায় বছরের অন্য সময় এটি খুব একটা দেখা যায় না।

গবেষকরা বলছেন, দিনের পর দিন ওষুধ খেয়ে যেকোন রোগ সারানোর চেয়ে প্রাকৃতিক শাকসবজি এবং ফলমূল অনেক বেশি কার্যকরী। সেদিক দিয়ে মুলা বেশ উপকারী।

জন্ডিস চিকিৎসায় কার্যকরী : জন্ডিসের মতো রোগ সারাতে মুলার জুড়ি নেই। কারণ এই সবজি লিভার এবং পাকস্থলীর জন্য খুব উপকারী। এটা শরীরে ডি টক্সিফায়ারের কাজ করে রক্ত পরিষ্কার রাখে। জন্ডিস হলে রক্তে বিলুরুবিনের মাত্রা বেড়ে যায়, মুলা এই মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। এই রোগের কারণে শরীরে যে রেড ব্লাড সেলের ক্ষতি হয়, অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে সেটাও পূরণ করে মুলা। এছাড়া জন্ডিসের জন্য মুলাশাকও বেশ উপকারী।

পাইলস প্রতিরোধ করে: মুলাতে অপচনীয় কার্বোহাইড্রেট থাকে যার ফলে হজম ঠিক হয়, শরীরে পানির মাত্রা ঠিক থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়। ফলে পাইলসয়ের ঝুঁকিও কমায়।

ইউরিন সংক্রমন কমায়: মুলা শরীরে ইউরিনের পরিমান বাড়ায়, সংক্রমন হলে যে জ্বালা যন্ত্রণা হয় সেটাও কমাতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে কিডনি আর ইউরিনারী সিস্টেম পরিষ্কার রাখে।

ওজন কমাতে সহায্য করে : মুলা খুব সহজেই খিদে মেটায়। এর মানে হল অল্প পরিমাণ খাওয়াতে পেট ভরে কিন্তু ক্যালরি বাড়ে না। এর মধ্যে অল্প পরিমানে কার্বোহাইড্রেট, প্রচুর পরিমাণে পানি , হজমশক্তি সহায়ক উপাদান থাকে। একারণে যারা ওজন কমাতে চান তারা নিশ্চিন্তে মুলা খেতে পারেন ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: মুলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি আছে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া যেকোন ধরনের ইনফেকশনের ঝুঁকিও কমায়।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে : মুলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে যা শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে : মুলা শরীরে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। একারণে ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও মুলা বেশ উপকারী।

ত্বকের সুরক্ষা করে : ভিটামিন, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ভিটামিন বি থাকায় মুলা ত্বকের জন্যও বেশ ভাল। মুলায় থাকা পানি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। ব্লেণ্ড করা মুলা ফেসপ্যাক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

পোকার কামড় সারিয়ে তোলে: মুলাতে অ্যান্টি প্ররিটিক আছে। যেকোন ধরনের পোকামাকড় কিংবা মৌমাছির কামড় সারাতে মুলার রশ বেশ কার্যকরী। আক্রান্তস্থলে এই রস লাগালে ব্যথা এবং ফোলা কমে যাবে।

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় : মুলায় থাকা ডিটক্সিফায়ার, ভিটামিন সি‚ ফলিক অ্যাসিড কোলন ও মুখের ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। সূত্র : অর্গানিকফ্যাক্টস