বিশেষ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় এক এইচ এস সি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টা মামলার বাদী ও তার পরিবারকে বাড়িঘর ছাড়া করেছে মামলার আসামীরা। মামলা করে দেড়মাস ধরে বাদী তার বাড়িঘরে যেতে পারছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তাদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে গেছে আসামী পক্ষের লোকজন।
মামলা ও বাদীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরের বৌলাই ইউনিয়নের রগনন্দপুর বটতলা এলাকার করিমগঞ্জ জঙ্গলবাড়ি মহিলা কলেজে পড়–য়া এক এইচ এস সি পরীক্ষার্থীকে একই এলাকার শরীফ মিয়া, আঙ্গুর মিয়া, জুয়েল মিয়া তার কলেজে যাওয়া আসার পথে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দিতো। এতে পরীক্ষার্থী কখনো তাতে সারা দিতো না।
ঘটনার দিন গত (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে পরীক্ষার্থীর ছোট ভাইকে সঙ্গে করে মামার বাসা কিশোরগঞ্জ শহরে যাচ্ছিল পরীক্ষার্থী। এসময় সিএনজিসহ রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা শরীফসহ মামলার অন্যান্য আসামীরা পরীক্ষার্থীকে জোরপূর্বক টেনে হেছড়ে সিএনজি করে অপহরণ করে নিয়ে যাবার সময় রাস্তায় পরীক্ষার্থীর ডাক-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন গাড়ির গতিপথরোধ করে তাকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীর সঙ্গে থাকা তার ছোট ভাই আহত হয়। পরে পরীক্ষার্থী নিজে বাদি হয়ে অপহরণকারীদের বিরোদ্ধে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (সংশোধনী/০৩) এর ৭/৯(৪)(খ)/৩০তৎসহ দঃ বিঃ ৪২৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
তা জানতে পেরে আসামী ও তাদের লোকজন বাদীর বাড়ীঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও সর্বস্বলুট করে নিয়ে যায়। এর পর থেকে গত প্রায় দেড়মাস ধরে পরীক্ষার্থী (মামলার বাদি) তার পরিবারসহ বাড়িঘর ছাড়া রয়েছেন। প্রতিনিয়তই আসামীরা মামলার বাদি ও তার পরিবারের লোকজনকে মামলা তুলে নিতে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এদিকে বাড়ি ঘরে না যেতে পারায় সামনে এইচ এসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা পরীক্ষার্থীর অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে বলে বাদির পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন। তারা প্রশাসরেনর কাছে সু-বিচারের আশায় ও নিজ বাড়িঘরে যেতে ধারে ধারে ঘুরছে।