ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
সংঘর্ষের ১০ দিনেও নিখোঁজ ইয়াসিন জীবিত অথবা মৃত ফেরত পেতে এলাকবাসীর মানববন্ধন সোনালি ক্ষেতে ঢেউ ভাঙা বসন্ত হাওয়া প্রধান উপদেষ্টা আজ পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কথা শুনবেন আদালতের রায় উপেক্ষা দুই শতাধিক ভেনেজুয়েলার নাগরিককে এল সালভাদরে পাঠালেন ট্রাম্প কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে টিকিট ব্যবস্থা চালু কাজে ফিরলেন মেট্রোরেল কর্মীরা ধর্ষণ নিয়ে বক্তব্য ডিএমপি কমিশনারের দুঃখ প্রকাশ বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার অবস্থান কত জাতিসংঘ মহাসচিবের বাংলাদেশ সফর গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলে সুদিনের স্বপ্ন নিয়ে আজ আসছেন হামজা চৌধুরী অবশেষে ৭৫ লাখ রুপিতে আইপিএলে দল পেলেন মুস্তাফিজের ‘শিষ্য’

মেঘালয় পুলিশ ছোট একটি কক্ষে আটক ছিলেন সালাহ উদ্দিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:০৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০১৫
  • ৪৫৪ বার
সালাহ উদ্দিনকে অল্প সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে মেঘালয় পুলিশ। সোমবার গ্রেফতারের পর এই প্রথম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিলং পুলিশ। আর তাতেই ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে সালাহ উদ্দিন রহস্য। শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিলং পুলিশ জানান, সালাহ উদ্দিন দাবি করেছে ঢাকায় অপহরণের পর একটি ছোট ঘরে আটকে রাখা হয় তাকে। অপহরণকারীরা তাকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন গাড়িতে ছিল বলেও জানায় সালাহ উদ্দিন। এ সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার গাড়ি পরিবর্তন করা হয় বলে শিলং পুলিশকে জানিয়েছে সালাহ উদ্দিন।
গ্রেফতার করার পর পুলিশ বলেছিল, এই বিএনপি নেতার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা তার বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছিল। তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনিকে বলেছেন, তিনি নিজেই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর সোমবার মেঘালয়ের শিলংয়ে গ্রেফতার হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন।
তার সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার শিলংয়ে গেছেন আব্দুল লতিফ জনি। পুলিশের অনুমতি নিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সালাহ উদ্দিনের বেশ কয়েকজন আত্মীয়ও শিলংয়ে পৌঁছেছেন। তার জন্য খাবার ও নতুন জামা-কাপড় নিয়ে গেছেন তারা।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন কর্মকর্তা বলেন, অপহৃত হওয়ার পরের ঘটনা নিয়ে কিছু মনে করতে পারছেন না বলে সালাহ উদ্দিন প্রথমে বলেছিলেন। তবে এখন তিনি বলছেন, প্রায় দুই মাসের মতো বাংলাদেশের কোথাও একটি বাড়ির এক ছোট কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে চোখ বেঁধে তাকে ওই ঘর থেকে বের করে গাড়িতে নিয়ে ঘোরানো হয় এবং অপহরণকারীরা বার বার গাড়ি বদলায়।
সালাহ উদ্দিনের বক্তব্যে ‘কিছু অসামঞ্জস্যতা’ পাওয়া যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বক্তব্য যাচাইয়ের জন্য তাকে আমাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
সালাহ উদ্দিনকে শিগগিরই বাংলাদেশে পাঠানোর কোনো ইঙ্গিত এখনো পায়নি মেঘালয় রাজ্য সরকার। আর তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থাকায় শিগগিরি ভারত থেকে দেশে ফেরা হচ্ছে না এই বিএনপি নেতার।
Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

সংঘর্ষের ১০ দিনেও নিখোঁজ ইয়াসিন জীবিত অথবা মৃত ফেরত পেতে এলাকবাসীর মানববন্ধন

মেঘালয় পুলিশ ছোট একটি কক্ষে আটক ছিলেন সালাহ উদ্দিন

আপডেট টাইম : ০৫:০৩:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ মে ২০১৫
সালাহ উদ্দিনকে অল্প সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে মেঘালয় পুলিশ। সোমবার গ্রেফতারের পর এই প্রথম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিলং পুলিশ। আর তাতেই ধীরে ধীরে উন্মোচিত হচ্ছে সালাহ উদ্দিন রহস্য। শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিলং পুলিশ জানান, সালাহ উদ্দিন দাবি করেছে ঢাকায় অপহরণের পর একটি ছোট ঘরে আটকে রাখা হয় তাকে। অপহরণকারীরা তাকে নিয়ে বেশ কয়েকদিন গাড়িতে ছিল বলেও জানায় সালাহ উদ্দিন। এ সময়ের মধ্যে বেশ কয়েকবার গাড়ি পরিবর্তন করা হয় বলে শিলং পুলিশকে জানিয়েছে সালাহ উদ্দিন।
গ্রেফতার করার পর পুলিশ বলেছিল, এই বিএনপি নেতার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় স্থানীয়রা তার বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছিল। তবে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনিকে বলেছেন, তিনি নিজেই স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। দুই মাস নিখোঁজ থাকার পর সোমবার মেঘালয়ের শিলংয়ে গ্রেফতার হন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন।
তার সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার শিলংয়ে গেছেন আব্দুল লতিফ জনি। পুলিশের অনুমতি নিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সালাহ উদ্দিনের বেশ কয়েকজন আত্মীয়ও শিলংয়ে পৌঁছেছেন। তার জন্য খাবার ও নতুন জামা-কাপড় নিয়ে গেছেন তারা।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের একজন কর্মকর্তা বলেন, অপহৃত হওয়ার পরের ঘটনা নিয়ে কিছু মনে করতে পারছেন না বলে সালাহ উদ্দিন প্রথমে বলেছিলেন। তবে এখন তিনি বলছেন, প্রায় দুই মাসের মতো বাংলাদেশের কোথাও একটি বাড়ির এক ছোট কক্ষে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে চোখ বেঁধে তাকে ওই ঘর থেকে বের করে গাড়িতে নিয়ে ঘোরানো হয় এবং অপহরণকারীরা বার বার গাড়ি বদলায়।
সালাহ উদ্দিনের বক্তব্যে ‘কিছু অসামঞ্জস্যতা’ পাওয়া যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বক্তব্য যাচাইয়ের জন্য তাকে আমাদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।
সালাহ উদ্দিনকে শিগগিরই বাংলাদেশে পাঠানোর কোনো ইঙ্গিত এখনো পায়নি মেঘালয় রাজ্য সরকার। আর তার বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা থাকায় শিগগিরি ভারত থেকে দেশে ফেরা হচ্ছে না এই বিএনপি নেতার।